দিল্লি পুলিশের জালে তমলুকের নিতু, জাহাঙ্গিরপুরী হিংসার অন্যতম অভিযুক্ত সে

জাহাঙ্গিরপুরীর দাঙ্গার পরই গোপনে দিল্লি ছাড়ে নিতু। চলে আসে কলকাতা। সেখান থেকেই সে যায় তমলুকের একটি গ্রামে। সেখানেই আত্মীয়ের বাড়িতে এতদিন নিরাপদে গাঢাকা দিয়ে ছিল সে। 

Saborni Mitra | Published : Apr 28, 2022 12:07 PM IST / Updated: Apr 28 2022, 05:51 PM IST

জাহাঙ্গিরপুরীর হিংসার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নিতু ওরফে আরিফকে বাংলা থেকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর এই ব্যক্তি জাহাঙ্গীরপুরীর ঘটনার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল। তারপরই গাঢাকা দেওয়ার জন্য দিল্লি ছেড়ে চম্পট দেয়। আশ্রয় নেয় কলকাতার গোপন ডেরায়। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতা সহ গোটা বাংলায় দিল্লি পুলিশের বেশ কয়েকটি দল মোতায়েন করা হয়েছিল, অভিযুক্তদের গতিবিধি জানতে। সেই সূত্র ধরেই সন্ধান পাওয়া যায় নিতু ওরফে আরিফের। তমলুকের গ্রামে তার পিসির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়ে আরিফকে। 

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে , জাহাঙ্গিরপুরীর দাঙ্গার পরই গোপনে দিল্লি ছাড়ে নিতু। চলে আসে কলকাতা। সেখান থেকেই সে যায় তমলুকের একটি গ্রামে। সেখানেই আত্মীয়ের বাড়িতে এতদিন নিরাপদে গাঢাকা দিয়ে ছিল সে। যাইহোক, নিতুর বিরুদ্ধে ২০১০ সাল থেকে ডাকাতি, ছিনতাই , বেআইনি অস্ত্র আইনে মোট ছয়টি মামলা রয়েছে।  

দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর নিতুই এই হিংসার ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম। এদিনই তাকে বাংলা থেকে নতুন দিল্লিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান হিংসার ঘটনার পরেই একদম সময় নষ্ট না করেই দিল্লি ছেড়েছিল নিতু। 

গত ১৬ এপ্রিল হনুমায় জয়ন্তীর মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী। দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।  সেখানে প্রায় ৭-৮ রাউন্ড গুলি চলে। বেশ কয়েক পুলিশকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাও আহত হয়েছিল। বেশ কয়েকটি গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল দাঙ্গাবাজরা। এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ। রাকেশ আস্থানা প্রধান অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলাও করার কথা বলেছেন। কারণ এই মামলায় প্রধান অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আগেই অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। তিনি সেই ঘটনার তদন্তের জন্য ইডিকে চিঠিও লিখেছেন। এখনও পর্যন্ত ধৃত পাঁচ জনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা আইনে মামলাও দায়ের হয়েছে। 

জাহাঙ্গিরপুরীকাণ্ডে এর আগে বাংলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল মহম্মদ আনসারকে। দিল্লিতে পাকাপাকিভাবে থাকলেও হলদিয়াতেও তার বাড়ি রয়েছে। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। মহম্মদ আনসার বছরে দুবার সেখানে আসত বলেও জানিয়েছে স্থানীয়রা। দিল্লির দাঙ্গার পর থেকে সেখানেই আশ্রয় নিয়েছিল আনসার। আনসারের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। 

Share this article
click me!