এত ভঙ্গ বঙ্গদেশ, তবু রঙ্গে ভরা। এখানে সবজির দাম কমছে। কিন্তু মদের দাম বেড়ে চলেছে হু-হু করে। তিন থেকে চারগুণ দামে কালোবাজারি হচ্ছে বাংলা মদের! আর দ্বিগুণ দামে বিকোচ্ছে রয়ালস্টাগ আর রাম!
কোথায় জানেন? এ আমাদের একেবারে নদের দেশের খবর। মঙ্গলবার লকডাউনের বাজারে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে সবজির দোকানে কোনও খরিদ্দার নেই। বেজার মুখ করে বসে রয়েছেন দোকানদার। সে বেজার মুখ আবার ততোধিক বেজার হয়ে গিয়েছে মুখোশের সৌজন্য়ে। জিজ্ঞেস করলাম, "কী ব্য়াপার, দোকান ফাঁকা কেন?" একেবারে তেড়েফুঁড়ে দিলেন দোকানি-- "লকডাউন চলছে দাদা, বাজারে লোক নেই। কেউ কিছু কিনছে না।" আবার জিজ্ঞেস করলাম, "কিন্তু না-কিনলে খাবে কি, যা মজুত করে রেখেছে তাই দিয়েই কি চলবে"।" উপেক্ষার সুরে উত্তর এলো, "ঘরে যা আছে, তাই পচিয়ে পচিয়ে খাবে।" বুঝলাম, আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। চলে আসার আগে শুধু জেনে এলাম, আলুর দাম কমে দাঁড়িয়েছে কিলোপ্রতি ১৫ থেকে ১৬ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এমনকি ১০ টাকা কিলোতেও পাওয়া যাচ্ছে আলু, তা-ও এই বাজারে!
কানাঘুঁষো শোনা যাচ্ছিল ব্ল্য়াকে নাকি মদ বিক্রি হচ্ছে নদিয়ায়। তাই সামনে সিগারেটের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে মাঝবয়সী এক আড্ডাবাজারে সঙ্গে খোশগল্প জুড়ে দিলাম। ভাবলাম, যদি কিছু খবর বেরোয়। তবে আমাকে বেশি কসরত করতে হল না। একটু খোঁজা মারতেই, সুধারসের সেই রসিক একেবারে গড়গড় সব বলে দিলেন-- বাংলা আগে ছিল ৮৫ টাকা, এখন ২২০ তে বিকোচ্ছে। রয়ালস্টাগ ছিল ৫৫০টাকা, এখন ৮০০-র কম পাওয়া যাচ্ছে না। আর রামের দাম ডবল গিয়েছে। আগে ছিল ৩৭০টাকা, আর এখন একেবারে ৭০০তে পৌঁছচ্ছে।
এতটাকা দিয়ে মদ কিনছেন? উত্তর না-দিয়ে নৃপতি চট্টোপাধ্য়ায়ের মতো হাসলেন সেই রসিক। বুঝিয়ে দিলেন, "কর্তা বলেন কী, মদ না-হলে চলে?"