বাড়ছে ফাটল-ভাঙছে নদী বাঁধ, তলিয়ে যেতে পারে গোটা গ্রাম, দেখুন ভয়াবহ ছবি

Published : Jun 23, 2021, 02:02 PM IST
বাড়ছে ফাটল-ভাঙছে নদী বাঁধ, তলিয়ে যেতে পারে গোটা গ্রাম, দেখুন ভয়াবহ ছবি

সংক্ষিপ্ত

বর্ষার মরসুমে ফুলে ফেঁপে উঠেছে মহানন্দা মহানন্দার গ্রাসে তলিয়ে যেতে পারে আস্ত গ্রাম রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা নদীবাঁধের বেহাল দশা আরও চিন্তা বাড়াচ্ছে 

অতি ভারী বর্ষণের জেরে উত্তরের সমস্ত নদী গুলি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। জলস্তর বেড়েছে মহানন্দারও, মহানন্দার জলস্তর বাড়ার সাথে সাথে নদী বাঁধে ফাটলও বাড়ছে। আতঙ্কে ঘুম উড়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। যে কোনো সময় পাকা বাড়িগুলো  গ্রাস করতে পারে মহানন্দা। 

মালদার চাঁচলের মহানন্দা নদী লাগোয়া গালিমপুর, যদুপুর, ভবানীপুর, শ্রীপতিপুর এলাকার বহু মানুষ আতঙ্কের প্রহর গুনছেন।বাঁধের অবস্থা দুর্বল,আস্তে আস্তে ভাঙতে শুরু করেছে বোল্ডার। ইতিমধ্যে অল্পবিস্তর শুরু হয়েছে ভাঙ্গন,আর তাতেই ঘুম উড়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার বসবাসকারীদের। 

গ্রামবাসীর অভিযোগ,২০১২ সালে বড় বড় পাথর দিয়ে নদীর ভাঙ্গন রোধে তৈরি করা হয়েছিল বোল্ডার। কিন্তু এক দশক কেটে গেলেও দীর্ঘদিন ধরে বাঁধ সংস্কারের অভাবে বোল্ডার ভাঙতে শুরু করেছে। সরকারি আধিকারিকেরা শুধু পরিদর্শনে আসেন, কাজের কাজ কিছুই হয় না এমনটাই অভিযোগ বাসিন্দদের। প্রতিবছর বর্ষার সময় ২০১৭ সালের ভয়াবহ স্মৃতির কথা মনে করিয়ে দেয় গ্রামবাসীদের। সেই সময় গ্রামছাড়া হয়েছিল গোটা গালিমপুর। 

মহানন্দার লাগাতার জলস্তর বৃদ্ধির ফলে সে বার গালিমপুর, যদুপুর, শ্রীপতিপুর, ভবানীপুর বিস্তীর্ণ গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। সেই টাটকা স্মৃতি আজও গ্রামবাসীদের স্মরণে রয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, সময় থাকতে থাকতে বাঁধ মেরামত করা হোক। বোল্ডারের কাজ শুরু করা হোক। না হলে বহু গ্রাম প্লাবিত হবে। জলের তলায় ভেসে যাবে বহু ফসল। 

ইতিমধ‍্যেই নদীর ধারেই গালিমপুরে প্রায় পঞ্চাশটি পরিবার আতঙ্কিত। তারা বিমর্ষ হয়ে বলছেন, ভিনরাজ‍্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে কোনো রকমে পাকা বাড়ি করতে পেরেছেন তাঁরা। বাঁধে ধস পড়লে বাড়িটিও চলে যাবে মহানন্দার কবলে। এমনটাই আশঙ্কা করে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে গালিবপুরের পূর্ব পাড়ার বাসিন্দাদের।

PREV
click me!

Recommended Stories

পাহাড়-তরাইয়ে 'সেতু' বাঁধছেন অজয় এডওয়ার্ড, নতুন দলের সূচনা করেই TMC-BJPকে হুঁশিয়ারি
দীপু দাসের হত্যা নিয়ে বাংলাদেশকে চরম আক্রমণ শমীকের, দেখুন কী বলছেন