মধ্য রাতের নিস্তব্ধতাকে কাজে লাগিয়ে সবেমাত্র চোরাগোপ্তা পথে হাঁটতে শুরু করেছিল ওরা। ছক ছিল পাটের জমির মধ্যে দিয়ে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল কাঁটাতারের ওপারে বাংলাদেশের পাঠানোর। এজন্য কাঁটাতারের বেড়ার কাছে এক এক করে জড়ো হচ্ছিল মাদক পাচারকারীরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তড়িঘড়ি মুর্শিদাবাদের বিদুপুর চর এলাকা ঘিরে ফেলে বিএসএফ।
অন্ধকারের মধ্যেই ওই পাচারকারীদের ধাওয়া করে ছুটতে শুরু করে বিএসএফের জওয়ানরা। পাটের ক্ষেতে আড়ালে কয়েকজন অন্ধকারের মধ্যে হারিয়ে গেলেও, এক পান্ডাকে বমাল হাতেনাতে ধরে ফেলে মুর্শিদাবাদের ১৪১ নম্বর ব্যাটালিয়নের কয়েকজন সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
মধ্যরাত্রে বর্ডার সিকিওরিটি ফোর্স বা বিএসএফের হাতে বমাল গ্রেফতার হল মাদক পাচার চক্রের অন্যতম বড় কারবারি। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে যে কোনো রকমের মাদক কারবার বন্ধ করতে রাতে তৎপর থাকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিশেষ 'ইন্টারঅ্যাকটিভ সার্ভিলেন্স'। আর সেই সার্ভিলেন্সকে কাজে লাগিয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে বাজিমাত করলেন মুর্শিদাবাদ সীমান্তের ১৪১ নম্বর ব্যাটালিয়নের বিএসএফ জওয়ানরা।
টানা তল্লাশি চালিয়ে ৫৪ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জেরায় পাচারকারী জানায় তার নাম কামাল শেখ। শুরু হয়েছে তাকে ক্যাম্পে বসিয়ে ম্যারাথন জেরা। ঘটনায় সীমান্তে মাদক নেটওয়ার্ক বিস্তারের কাজে জড়িত বাকিদের নাম জানার চেষ্টা চলছে। যদিও তদন্তের স্বার্থে এখনই জেরায় মেলা বাকিদের নাম নিয়ে কিছু বলতে চাননি বিএসএফ কর্তারা।
এদিকে, কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বুধবার দুপুরের পরে বিশেষ এনডিপিএস আদালতে ধৃতকে পেশ করা হবে। জেরার জন্য হেফাজত চাইবে বিএসএফ।