অভিযোগ, বাচ্চার জন্য় দুধ কিনতে বেরিয়েছিলেন বছর বত্রিশের এক যুবক। কিন্তু পুলিশের বেধড়ক মার খেয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। পড়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। হাওড়া ওই যুবকের মৃত্য়ুকে ঘিরে সোশ্য়াল মিডিয়া উত্তাল গত ২৪ ঘণ্টায়।
শুধু হাওড়ার ঘটনাই নয়, রাজ্য়জুড়ে নির্বিচারে লাঠিচার্জে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি, লাঠির হাত থেকে ছাড় পাননি ইসিএলের এক কর্মীও। যার জেরে প্রশ্ন উঠেছে, কয়লা তোলার কাজ না-হলে বিদ্য়ুৎ উৎপাদন মার খাবে। স্তব্ধ হয়ে যাবে সমস্ত হাসপাতালও। তার দায় কি পুলিশ নেবে? ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো।
এই পরিস্থিতিতে আসরে নামেন খোদ মুখ্য়মন্ত্রী। পুলিশ এইভাবে বাড়াবাড়ি করলে কঠোর ব্য়বস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তারপর থেকে বাড়াবাড়ি কিছুটা বন্ধ হয়।
যদিও এরপরও ভাইরাল হয়েছে একাধিক ভিডিয়ো। ওই হাওড়ারই এক যুবক ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি ছবি দিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে লেখেন-- মুখে মুখোর আর মাথায় হেলমেট পরে বাইক নিয়ে তিনি বাজার করতে বেরিয়েছিলেন। মুখ্য়মন্ত্রীর আবেদন শুনে তিনি অযথা আতঙ্কিত না-হয়ে বাজার করতে গিয়েছিলেন। আর সেখানেই পুলিশ কোনও কথা না-শুনেই বেপরোয়াভাবে লাঠি চালায় বলে তাঁর অভিযোগ।
তবে, এ-রাজ্য়ে পুলিশের এই ভূমিকার পাশাপাশি অন্য় ভূমিকাও নজর কেড়েছে। লকডাউনের সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য় অ্য়াম্বুলেন্স না-মেলায় সোনারপুর থানার আইসি সঞ্জীব চক্রবর্তী গাড়িতে করে এক প্রসূতিকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই পরিস্থিতিতে গাড়িতেই প্রসব করেন তিনি। বেপরোয়া লাঠি চালানোর পাশাপাশি পুলিশের এই মানবিক মুখও নজর কেড়েছে নেটিজেনেদের।