১৯ বার ছোবল খেয়েও স্বাভাবিক, দুর্গাপুরের দেবাশিস এখন 'স্নেক ম্যান'

Published : Nov 05, 2019, 03:37 PM ISTUpdated : Nov 05, 2019, 03:47 PM IST
১৯ বার ছোবল খেয়েও স্বাভাবিক,  দুর্গাপুরের দেবাশিস এখন 'স্নেক ম্যান'

সংক্ষিপ্ত

সাধারণের মাঝে অসাধারণ তিনি ১৯বার বিষধর সাপের ছোবল খেয়েও আছেন দিব্যি সাপ উদ্ধারে কাজ করে চলেছেন ২৫ বছর  দুর্গাপুরের দেবাশিস এখন সবার কাছে 'স্নেক ম্যান'


সাধারণের মাঝে অসাধারণ তিনি। ১৯বার বিষধর সাপের ছোবল খেয়েও দিব্যি করে চলেছেন সাপ উদ্ধারের কাজ। দুর্গাপুরের দেবাশিস এখন সবার কাছে 'স্নেক ম্যান'।

শহরজুড়ে বিষধর সাপের আতঙ্ক থাকলেও সর্প বিশারদ দেবাশিস মজুমদারের দিকে তাকিয়ে শহরবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয়। দেবাশিসের হাতের ইশারায় থমকে যায় গোখরো, গুটিয়ে যায় পাইথন। সকাল দুপুর কিংবা মাঝরাত যেকোনও সময় বিষধর সাপের খবর পেলেই তিনি তক্ষনাৎ সেখানে ছুটে যান। ১৯ বার বিষধর সাপের ছোবল খেয়েও তিনি হার না মেনে সমাজের কল্যাণে এই কাজ করে চলেছেন।পশুপ্রেমিক দেবাশিসবাবু বলেন,ছোটোবেলা থেকেই তিনি পশুপাখি খুব ভালোবাসতেন। ছোটোবেলা থেকে পশুপাখির প্রতি তাঁর এই নেশা বর্তমানে এক প্রকার পেশায় পরিণত হয়েছে। 

বারাসতের মধ্যমগ্রামে তিনি সাপ ধরার কৌশল নিয়ে ওয়ার্কসপ করেছেন। প্রায় ২৫ বছর ধরে এই কাজ করে চলেছেন তিনি। প্রথমে বেশকিছু বছর শখের বশেই এই কাজ করতেন। বর্তমানে সাপ উদ্ধার করতে যাওয়া আসার খরচ বাবদ সামান্য কিছু অর্থ নেন তিনি। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিষধর সাপ উদ্ধার করে সেগুলি বনদফতরের হাতে তুলে দেওয়াই তাঁর কাজ। শুধু দুর্গাপুর নয়, দুর্গাপুরের বাইরেও বিভিন্ন জায়গা থেকে সাপ উদ্ধার করার ডাক আসে তাঁর কাছে। 

স্থানীয়রা জানান দীর্ঘদিন ধরেই গোখরো, পাইথন, খরিস চন্দ্রবোড়ার মত বহু বিষধর সাপ রয়েছে দুর্গাপুর শহরে।পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর শহর একসময় ছিল শাল,শিমুল,শিরিষ ইত্যাদির জঙ্গল। সেই জঙ্গল কেটেই তৈরি হয়েছে দুর্গাপুর শহর। তাই প্রায়শই দুর্গাপুরে উদ্ধার হয় বহু বিষধর সাপ। সারা বছরই দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপ, ডিপিএল টাউনশিপ, এমএএমসি টাউনশিপ শহর জুড়ে একাধিক পাইথন উদ্ধার হয়। যার এক একটার দৈর্ঘ্য প্রায় ৭ থেকে ১২ ফুট। এক কথাই বলায় যায় পাইথনের আদিঘর যেন দুর্গাপুর শহর। এছাড়াও গোখরো সহ একাধিক প্রজাতির বিষধর সাপ তো রয়েছে। 

দেবাশিসবাবুর কাজের বিষয়ে ওয়াকিবহাল বন দফতরও। এই বিষয়ে দুর্গাপুর বনদফতরের আধিকারিক মিলনকান্তি মন্ডল বলেন, দুর্গাপুরে বিষধর সাপের মধ্যে মূলত গোখরো, চন্দ্রবোড়া, পাইথন এই তিনপ্রকার সাপই সবচেয়ে বেশি উদ্ধার হয়। এখান থেকে প্রতি মাসে কম বেশি ৭-৮ টি এই বিষধর সাপ উদ্ধার হয়। দুর্গাপুরে দেবাশিস মজুমদার বনদফতরের কর্মী না হয়েও নিজের সখেই সমাজসেবামূলক এই কাজটি করেন। যতগুলি সাপ উদ্ধার হয় সবই তিনি আমাদের হাতে তুলে দেন। এরপর সেগুলিকে জায়গা মতো ছেড়ে দিয়ে আসা হয়।

PREV
click me!

Recommended Stories

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কি SIR ফর্ম ফিলআপ করেনি? সত্যি কথা জানিয়ে দিলেন অমিত
২০২৬ সালে স্কুলগুলিতে ছুটির লম্বা তালিকা, নতুন বছরের আগেই ঘোষণা WBBSE