পিকনিক করতে গিয়েই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্য়ু হল বাবা এবং কাকার। মারা গেল শিশুটিও। রবিবার মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার উস্তির বাণেশ্বরপুরে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন উস্তির বাণেশ্বরপুর এলাকার একটি বাড়িতে পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল। দশ থেকে বারোজন স্থানীয় বাসিন্দা পিকনিকে অংশ নেন। হঠাৎই রিজওয়ান মোল্লা নামে একটি শিশু ওই বাড়ির ছাদে চলে যায়। অভিযোগ, ছাদের একদম কাছ দিয়ে হাই টেনশন বিদ্যুতের তার গিয়েছে। শিশুটি সেই তারে হাত দেওয়া মাত্র বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।
ছেলেকে বাঁচাতে ছুটে আসেন শিশুটির বাবা মফিজুল মোল্লা এবং কাকা গাফর লস্কর। শিশুটিকে উদ্ধার করতে গিয়ে তাঁরাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে বাণেশ্বরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই রিজওয়ান এবং তার কাকা গাফর লস্করকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মফিজুল মোল্লাকে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হলেও পথেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
এই ঘটনায় গোটা এলাকাতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাড়ির এত কাছ দিয়ে কীভাবে হাই টেনশন লাইন রাখা হল, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দুর্ঘটনার পরেই এলাকায় যান বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। হাই টেনশন তারের ওই লাইন নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।