Recruitment: নিয়োগ ঘিরে শাসকদলে রাজনৈতিক বিতর্ক, 'তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব' বলে কটাক্ষ BJP-র

 কলেজের পরিচালন সভাপতি নিয়োগকে ঘিরে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। মালদার চাঁচল কলেজের ঘটনায় তৃণমূল গোষ্ঠী দ্বন্দ আবারও প্রকাশ‍্যে এল দাবি বিজেপির  । 

 

Web Desk - ANB | Published : Dec 4, 2021 11:29 AM IST / Updated: Dec 04 2021, 05:37 PM IST

মালদহ-তনুজ জৈনঃ- কলেজের পরিচালন সভাপতি নিয়োগকে ঘিরে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।শাসকদলের (TMC Leader) নেতা তথা অপসারিত ওই কলেজের সভাপতি মোশারফ হোসেনের অভিযোগ,বিজেপি ঘনিষ্ঠকে পরিচালন সমিতিতে মনোনীত করা হয়েছে।যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিধায়কের দাবি,বোর্ড যোগ‍্য ব‍্যক্তিকেই মনোনীত করেছেন।যারা ক্ষোভ দেখাচ্ছে,তারা নিজ স্বার্থ সিদ্ধির জন‍্য রাজনৈতিক রটনা রটাচ্ছে। দলের নীতিনির্ধারকেরা জেলায় তৃণমূল কর্মী (TMC Worker) সমর্থকদের ভাবাবেগে আঘাত হেনেছেন বলে দাবি জানিয়েছেন মুশারফ হোসেন। যদিও (Malda Chanchal) মালদার চাঁচল কলেজের ঘটনায় তৃণমূল গোষ্ঠী দ্বন্দ আবারও প্রকাশ‍্যে এল দাবি বিজেপির (BJP) । 

'আমাকে কাজ করতেই দেওয়া হল না, পরিবর্তে  দায়িত্বে এসেছেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ অধ্যাপক'

উল্লেখ্য, উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে মালদহের চাঁচল কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদে নিয়োগ করা হয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ‍্যাপক সৌগত পালকে।কিন্তু সৌগত নাকি বিজেপি ঘনিষ্ঠ।এমনটাই রাজনৈতিক রঙ লাগাচ্ছেন অপসারিত শাসকদলের ওই অপসারিত সভাপতি মোশারফ হোসেন।আর এনিয়ে শুরু হয়েছে জোড় গুঞ্জন। জানা যায়, তৃণমূল নেতা মুশারফ হোসেন পেশায় উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। তার অভিযোগ, 'আমাকে সাত মাস আগে উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে আমার নাম পাঠানো হয়েছিল।আমাকে কাজ করতেই দেওয়া হল না। পরিবর্তে বিজেপি ঘনিষ্ঠ অধ্যাপক সৌগত পালকে দায়িত্বে আনা হয়েছে।সৌগতবাবু ওয়েবকুপার সদস্যও নন', বলে দাবি। দলের নীতিনির্ধারকেরা জেলায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভাবাবেগে আঘাত হেনেছেন বলে মুশারফ হোসেনের দাবি। 

'এটা তৃণমূলের  গোষ্ঠী কোন্দলের কারনেই বিতর্ক তৈরী হয়েছে'

যদিও শাসকদলের চাঁচলের বিধায়ক নীহার  রঞ্জন ঘোষ বলেন,সৌগত পাল শাসক দলের একজন ওয়েবকুপার সদ‍স‍্য।একজন অধ‍্যাপক কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি হয়েছেন।এটা চাঁচল কলেজের গর্ব।আগামী ইতিহাস হয়ে থাকবে।তাকে নিয়ে নিজ স্বার্থ সিদ্ধি লাভের জন‍্য বিতর্ক তৈরী করা হচ্ছে।যদিও পরিচালন সমিতির সভাপতি নিয়েগকে ঘিরে এই বিতর্কে গোষ্ঠীদ্বন্দের রূপ দিয়েছে বিজেপি।বিজেপির মালদা জেলার যুব মোর্চার সভাপতি সুমিত সরকার কটাক্ষ করে বলেন,এটা তৃণমূলের  গোষ্ঠী কোন্দলের কারনেই বিতর্ক তৈরী হয়েছে।উচ্চ শিক্ষা দফতর যাকে যোগ‍্য মনে করেছে তাকেই স্থান দিয়েছে।শিক্ষামহলেও তৃণমূলের রাজনৈতিক বিতর্ক এটা কাম‍্য নয়।যদিও কলেজ সূত্রে জানা গেছে,এবার চাঁচল কলেজের পরিচালন সমিতির নতুন তালিকায় সভাপতি ছাড়াও সরকারি প্রতিনিধি হিসেব মধুমিতা সরকার ও সফিকুল ইসলামের নাম পাঠানো হয়েছে।

Share this article
click me!