পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণীঝড়ের কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে এখনও ভারী বর্ষণ থেকে নিস্তার নেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে , চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, কী বলছে এই মুহূর্তে হাওয়া অফিস।
পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণীঝড়ের (Cyclone Jawad) কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে এখনও ভারী বর্ষণ থেকে নিস্তার নেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে (Heavy Rain in South Bengal)। শনিবার সারাদিন স্যাতস্যাতে আবহাওয়ার পরে রাত বেরোলেই ফের ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি এবং জলীয়বাস্প অস্থির করে তুলবে বঙ্গবাসীকে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, কী বলছে এই মুহূর্তে হাওয়া অফিস (Weather Office)।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়, ঘূর্ণীঝড় জয়াদ এখন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসগরের পুরী থেকে ৩৯০ কিমি দূরে রয়েছে। প্রথম ৬ ঘণ্টার উত্তর দিকে যাবে। তারপরে উত্তর পুর্ব দিকে যাবে ও দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। ৫ তারিখ পুরী উপকূলে পৌঁছাবে। তারপর পশ্চিমবঙ্গ উপকূল যাবে। পশ্চিমবঙ্গে আর এই ঘূর্ণিঝড়ের কোনও প্রভাব থাকবে না। শুধু শনিবার রাত থেকে ৫ তারিখ বিকেলে উপকূলের জেলাতে ৪০ কিমি হওয়া বইবে। শনিবার রাত থেকে দক্ষিণ বঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিন ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টি। রবিবার দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি কলকাতা, দুই মেদিনীপুর ভারী বৃষ্টি হবে। মৎস্যজীবিদের ৬ তারিখ পর্যন্ত মাছ ধরতে যেতে মানা। ৬ তারিখ বিকেল থেকে আকাশ পরিস্কার হতে শুরু করবে। তবে ঘূর্ণীঝড়ের প্রভাব না পড়লেও এরাজ্যে বিপর্যয় মোকাবিলা কোনও ত্রুটি রাখতে চায়নি সরকার। বিগন একের পর এক ঝড়, বন্যা একেই পশ্চিমবঙ্গের হাল খারাপ করে দিয়েছে। তাই আগে থেকে এবার সতর্ক ছিল রাজ্য প্রশাসন। কন্ট্রোল রুম খোলার পাশাপাশি আরও একাধিক ব্যবস্থাও নিয়েছে কলকাতা পুরসভা সহ জেলার পুরসভাগুলিও।
তবে উড়িশা ও অন্ধ্রে দুর্যোগের আশঙ্কায় ইতিমধ্য়েই এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-র (NDRF and SDRF) দল মোতায়েন করা হয়েছে। জরুরী অপারেশনের মেরিন পুলিশকেও মোতায়েন রাখা হয়েছে। এনডিআরএফ-র ১১ টি দল এবং এসডিআরএফ-র তিনটি দল অন্ধ্রের উপকূলীয় জেলা শ্রীকাকুলাম, ভিজিয়ামগরম এবং বিশাখাপত্তনমে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও মুখ্যসচিব সমীর শর্মার নির্দেশ অনুসারে ৬ টি কোস্ট গার্ড দল এবং ১০ টি মেরিন পুলিশের দলকে জরুরী অপারেশনের মোতায়েন রাখা হয়েছে। ঘূর্ণীঝড়ের মোকাবিলার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে কলকাতা পুলিশও। কলকাতা পুলিশের য়দ দফতরে একটি বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের পাশপাশি বিভিন্ন সরকারি দফতরের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের জন্য কন্ট্রোল চব্বিশ ঘন্টাই খোলা থাকছে। ঘূর্ণীঝড় হলে যাতে অসুবিধায় না পড়তে হয়, এজ ইতিমধ্য়েই কন্ট্রোল রুম খুলে জেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের জেরে দুর্যোগের আশঙ্কায় হাওড়া শহরের জন্যও কন্ট্রোল রুম চালু করছে হাওড়া পুরসভা। এই কন্ট্রোল রুমের নম্বর দু’টি হল ৬২৯২২৩২৮৭০ এবং ৬২৯২২৩২৮৭১। শনিবার সকাল থেকে সোমবার পর্যন্ত এই কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে চব্বিশ ঘন্টাই।