কোথাও রাস্তায় জ্বলছে বাস, তো কোথাও আবার আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ট্রেনে। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে এ রাজ্যে আন্দোলন হিংসাত্বক রূপ নিয়েছে। আন্দোলনের নামে তাণ্ডব চলছে সর্বত্রই। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় অহিংস পথে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি শুরু করে দিল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। সকলকেই সংযত ও শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে জ্বলছে বাংলা। ব্যতিক্রম নয় পশ্চিম মেদিনীপুরপুর জেলাও। তৃণমূল কংগ্রেস কিন্তু এখনও সংগঠিতভাবে আন্দোলনে নামেনি। বরং দলের নেতারা নির্দেশ দেওয়ার আগে বিক্ষিপ্তভাবে আন্দোলন শুরু করে গিয়েছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। গত তিন ধরে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে যথেষ্টই। অনেকে জায়গা আবার তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়েই পথ অবরোধ সামিল হতে দেখা গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের। আর তাতেই প্রমাদ গুণছে শাসকদলের জেলা নেতৃত্ব। তাঁদের আশঙ্কা, কোনওভাবে যদি জেলায় নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলন হিংসাত্বক রূপ নেয়, সেক্ষত্রে দলের ভাবমূর্তিতে আঘাত লাগতে পারে। শনিবার বিকেলে মেদিনীপুরে শহরে বৈঠকে বসেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে শেষে দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি জানান, আগামীকাল অর্থাৎ রবিবারই পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে পশ্চিম মেদিনীপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে নাগরিকত্ব বিল বিরোধী আন্দোলনে নামবে তৃণমূল কংগ্রেস। আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে প্রতিটি ব্লক ও অঞ্চলে। তৃণমূলের জেলা সভাপতির বক্তব্য, 'আন্দোলনকে অহিংস ও গঠনমূলক রাখতে হবে। তাই আমাদের আন্দোলন অংশ নেওয়ার অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করি।'
আরও পড়ুন: দুধ দেওয়া গরু কেন লাথি মারছে, বেলাগাম তাণ্ডব সামলানোই চ্যালেঞ্জ মুখ্যমন্ত্রীর
উল্লেখ্য, রাজ্যবাসীকে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তাঁর হুঁশিয়ারি, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। ট্রেনে পাথর ছুঁড়ে কিংবা বাসে আগুন লাগিয়ে যদি কেউ সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেন, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী সোমবার কলকাতায় আম্বেদকরের মূর্তি থেকে জোড়াসাঁড়ো তৃণমূলের মিছিলেও হাঁটবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।