লাগবে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার বেশি। এত টাকা আসবে কোথা থেকে এই চিন্তাই কুরে কুরে খাচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিক মামুনকে।
মানবিক মুখ তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)। এবার পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Labour) ক্যান্সারে আক্রান্ত (Cancer) ছেলের(Son) পাশে দাঁড়ালেন এলাকার তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের নেতা (TMC Leader) তথা সংখ্যালঘু সেলের অঞ্চল সভাপতি দিল রোজ। মালদহ জেলার কুশিদা এলাকার পরিযায়ী শ্রমিক মামুন। তার ছেলে ক্যান্সারে আক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরে। চিকিৎসার বিপুল খরচ টানতে গিয়ে নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর যোগাড় পরিযায়ী শ্রমিকের। সেই অবস্থায় এবার শ্রমিক পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়াল রাজ্যের শাসক দল।
জানা গিয়েছে ছেলের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও বাড়তি ওষুধের খরচ তুলতে এলাকার বাসিন্দাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ওই পরিযায়ী শ্রমিক। তবে লাভ হয়নি বিশেষ। এবার এই দুঃসময়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন তুলসিহাটা অঞ্চলের সংখ্যালঘু সেলের অঞ্চল সভাপতি দিল রোজ।। তুলে দিয়েছেন বাড়তি ওষুধের খরচের টাকা। কিন্তু তাতেও সম্পূর্ণ টাকা উঠছে না। লাগবে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার বেশি। এত টাকা আসবে কোথা থেকে এই চিন্তাই কুরে কুরে খাচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিক মামুনকে। ছেলেকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে দেখে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে অসহায় পরিযায়ী শ্রমিকের। যদিও পরিযায়ী শ্রমিক মামুনের পাশে দাঁড়িয়েছেন কুশিদা অঞ্চলের উপ-প্রধান মোহাম্মদ নুর আজমও।
মামুনের দুই ছেলে দুই মেয়ে। সংসার চালাতে পাঁচ বছর ধরে সপরিবারে আজমিরে থাকেন। লকডাউনেও সেখানে ছিলেন। কুশিদায় বাড়ি বলতে ভাঙাচোরা মাটির বাড়ি। আবেদন করেও আবাস যোজনায় ঘর মেলেনি। সম্প্রতি আজমিরে বড় ছেলে নাসিরুদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেখানে চিকিৎসা করার পরেই তার ক্যানসার ধরা পড়ে। কুশিদা এলাকার উপ-প্রধান নুর আজমের প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পাওয়া যায় এবং সেটা দিয়ে শুরু হয় চিকিৎসা।
খবর শোনা মাত্রই পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেতা দিল রোজ। তিনি এই পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছেন। তুলে দিয়েছেন আর্থিক সাহায্য। পাশাপাশি ভবিষ্যতে পাশে থাকারও অঙ্গীকার করেছেন । এ প্রসঙ্গে তিনি জানান আমি এই পরিবারটির কথা শুনলাম। সংবাদ মাধ্যমে খবর পাওয়ার পরেই আমি এখানে ছুটে এসেছি আমার পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব এই পরিবারটিকে সাহায্য করলাম।
ক্যান্সার আক্রান্তের বাবা পরিযায়ী শ্রমিক মামুন জানান, “ছেলের ক্যানসার ধরা পড়েছে। টাকা পয়সা কিছুই নেই। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দিয়ে চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু ওষুধের খরচ কোথায় পাবো। এই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। এখন স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসন যাতে আমাদের বাড়তি ওষুধের খরচ করে সাহায্য করে তাহলে ছেলেকে বাঁচাতে পারবো।