কয়কাণ্ডে শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তলব করা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নির্ধারিত সময়ই তৃণমূল নেতা হাজিরা দেন। দীর্ঘ জেরাও করা হয়। কিন্তু সেখান থেকেই বেরিয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় সরাসরি নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।
কয়কাণ্ডে শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তলব করা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নির্ধারিত সময়ই তৃণমূল নেতা হাজিরা দেন। দীর্ঘ জেরাও করা হয়। কিন্তু সেখান থেকেই বেরিয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় সরাসরি নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। তিনি একাধিক বিষয় টেনে এনে অমিত শাহকে লক্ষ্য করেন। বলেন, দেশের এক দল নেতা অন্য একটি দলের নেতাকে পাপ্পু বলে কটাক্ষ করে, কিন্তু 'এই দেশের সবথেকে বড় পাপ্পু অমিত শাহ।' এখানেই শেষ করেননি তিনি। বলেন 'তাঁর অসংখ্য ব্যর্থতা তাঁকে এই খেতাব পাইয়ে দিয়েছে। অন্য মানুষকে এই নামে ডাকার পরিবর্তে তাঁর নিজের ট্র্যাক রেকর্ডের দিকে মনোনিবেশ করা জরুরি। তাঁর নিজের কাজগুলির দিকে মন দেওয়া উচিৎ। হাতে থাকা কাজগুলি সরবরাহ করা জরুরি।'
কার্যত ২০১৪ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই রাহুল গান্ধীকে বিজেপির একাধিক নেতা মন্ত্রী পাপ্পু বলে কটাক্ষ করেন। যার মধ্যে রয়েছে অমিত শাহও। কিন্তু রাহুল গান্ধী কখনই এই প্রতিউত্তর দেননি। তবে রাহুল গান্ধীকে যে কটাক্ষ বা মজা করেই বিজেপির তরফ থেকে পাপ্পু নামটি দেওয়া হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
অন্যদিকে এদিন ইডির জেরার শেষে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, এই নিয়ে তাঁকে তিন বার জেরা করা হল। তিনবার তিনি আর তিনবার তাঁর স্ত্রী রুজিরা যে হাজিরা দিয়েছেন সেকথাও স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি আরও বলেন এখনও পর্যন্ত ৬০ ঘণ্টারও বেশি সময় জেরা করা হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তিনি আরও বলেন, 'বিনয় মিশ্রের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিল শুভেন্দু অধিকারী।' তাঁর এই বক্তব্যের সপক্ষে তাঁর কাছে প্রমাণ আছে বলেও দাবি করেন তিনি। তবে এই অভিযোগ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন এই উত্তর বিরোধী দলনেতাই দেবেন।
অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসুর একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, 'বিচারপতি বলেছেন, সোমবার আসুন। এই সময়ের মধ্যে কিছু হবে না।' তিনি আরও জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতি ইউইউ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চেই এই মামলার শুনানি হয়। যার অর্থ অপাতত চার দিন স্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। এদিন তাঁকে যখন জেরা করা হয় কলকাতায় তখনই দিল্লিতে এই নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
চার দিনের স্বস্তি অভিষেকের - সোমবার পর্যন্ত কড়া পদক্ষেপ নয়, EDকে বলল সুপ্রিম কোর্ট
বাড়ি সারাতে গিয়ে কপাল খুলে গেল দম্পতির, রান্নাঘর থেকে উদ্ধার কোটি কোটি মূল্যের সোনার টাকা
আদালতের নির্দেশের পরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে CBI, নিয়ে গেল পুরনো হার্ডডিস্ক