ঘাসফুল শিবিরে ফিরে এলেন মুকুল রায়
তাঁকে একসময় বলা হতো বাংলা রাজনীতির চাণক্য
তাঁর দলে ফেরা নিয়েও বোমা ফাটালেন অনুব্রত মণ্ডল
কী বলছেন বীরভূমের কেষ্ট
শুক্রবার, ৩ বছর ৯ মাস বাদে গেরুয়া শিবির থেকে ফের ঘাসফুল শিবিরে ফিরে এসেছেন মুকুল রায়। দলের একসময়ের সাধারণ সম্পাদক দল ছাড়ার সময়, অনেকেই ভেবেছিলেন তৃণমূল দলে বিরাট ভাঙন ধরবে। বস্তুত তা ধরেওছিল বিধানসভা নির্বাচনের আগে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত বাজজিমাত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ই। মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়-দের মতো সেনাপতিদের ছাড়াই বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন মমতা। তারপরও কী মুকুল রায়কে চাণক্য বলা যায়? কী বলছেন বীরভূমের কেষ্ট?
তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এদিন মুকুল রায়ের ঘরে ফেরা নিয়ে দাবি করেছেন, 'আগে সাংবাদিকরা বলত মুকুল রায় চাণক্য। কিন্তু ২০২১ সালের নির্বাচনে তো মুকুল রায় তৃণমূলে ছিল না। তাহলে এই ফল কীভাবে হল? চাণক্য মুকুল নয়, চাণক্য একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়'। দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনিই সুপ্রিমো। তিনি যদি মনে করেন মুকুল রায়কে প্রয়োজন, তাহলে নেবেন। আমরা সবাই একেকজন সাধারণ কর্মী'।
মুকুল রায়ের 'চাণক্য' পরিচয় নিয়ে এদিন অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন উত্তর ২৪ পরগণার আরেক দলবদলু বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। ২০১৯ সালে মুকুল রায়ের হাত ধরেই দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন অর্জুন। এদিন কিন্তু, সেই অর্জুন সিং-ই বলেছেন, তিনি চাণক্য নীতি সবটাই পড়েছেন। কোথাও তার সঙ্গে মুকুল রায়ের মিল নেই। বরং মকুল রায়কে এদিন তিনি 'বিশ্বাসঘাতক' বলেছেন।
আরও পড়ুন - গদ্দারও দুই প্রকার, নরমপন্থী ও চরমপন্থী - দলে কাদের ফেরাবেন, কী বললেন মমতা
আরও পড়ুন - ৩ বছর ৯ মাস পর ফের মুখোমুখি দিদি ও তার পুরোনো সেনাপতি, শুরুতেই কী বললেন মুকুল
আরও পড়ুন - 'বেচারা' থেকে 'ঘর ওয়াপসি' - ফের ঘাসফুলে ফুটল মুকুল, আড়াই মাসে কীভাবে বদলালো ঘটনাক্রম
তবে অনুব্রত মণ্ডল এদিন, মুকুল রায়কে দড়ি ছেঁড়া গরু বলতেও কসুর করেননি। তিনি বলেন, 'গোয়ালের অনেক গরু থাকে রাতে দড়ি ছিঁড়ে বেরিয়ে যায়। সকালে আবার তাদের ধরে এনে খুঁটিতে বাঁধা হয়। মুকুল রায়ও সেই রকম বেরিয়ে গিয়েছিল। আবার ধরে এনে বাঁধা হল।' একইসঙ্গে, আগামী ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী আর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। বীরভূমের কেষ্টর তাঁর দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হবে ভারতবর্ষের মুখ।