সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে চলেছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি মণ্ডল। ইতিমধ্য়েই বীরভূম থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন অনুব্রত মন্ডল।
সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে চলেছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল।। ইতিমধ্য়েই বীরভূম থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন অনুব্রত মন্ডল। সূত্রের খবর, গরুপাচারকাণ্ডে বুধবার সিবিআই-র নিজামপ্যালেসে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। গরুপাচারকাণ্ডে এই নিয়ে চতুর্থবার তাঁকে তলব করা হয়েছে। তাই সিবিআই-র ডাকেই সাড়া দিতে কলকাতা পৌছচ্ছেন অনুব্রত মন্ডল।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ বোলপুরের বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি মণ্ডল। আসানসোলে তাঁর প্রচার কর্মসূচি রয়েছে। আগামী ১২ তারিখ আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। এই কেন্দ্রে বাবুলের ছেড়ে যাওয়া সিটে তৃণমূলের তরফে দাঁড়িয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনেই প্রচারে প্রচারে যাচ্ছেন বীরভূমের এই হেভিওয়েট নেতা। তারপর আসানসোল থেকে কলকাতা আসবেন তিনি। এদিন রাতের মধ্যেই তিনি কলকাতা পৌছবেন। বুধবার বেলা ১১ টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে চলেছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি মণ্ডল।
আরও পড়ুন, 'আনারুলের নির্দেশেই আগুন লাগানো হয়', বগটুইহত্যাকাণ্ডে দাবি সিবিআই-র
এদিকে আসানসোল উপনির্বাচনের প্রচারে সম্প্রতি এসে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালও অনুব্রতকে জোর নিশানা করেন। তিনি বলেন, বলেন, ইডি ডাকলেই উনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। চলে যান উডবার্ন ওয়ার্ডে। ইসিজি সিটিস্ক্যান হলে সোনার আঙটি, সোনার গয়না খুলতে হয়।উনি অসুস্থ মানুষ । কী আর বলব। ওকে বলে দেবেন, ওর জন্য ওড়িশার শ্রীঘর পরিষ্কার করা হচ্ছে। খুব তাঁড়াতাড়ি ওকে ওখানে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে খেলা হবে গান গাইতে গাইতে লুডো খেলবেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল।'
প্রসঙ্গত, গরুপাচারের ইস্যুর পাশাপাশি সঙ্গে নতুন করে বগটুই হত্যাকাণ্ডে গেরুয়া শিবিরে সবচেয়ে বড় যে নামটা এই মুহূর্তে ঘুরছে, সেটা অনুব্রত মন্ডল। রামপুরহাটকাণ্ডে যতই আনারুল-সহ অন্যরা গ্রেফতার হোক, তা নিয়ে ভ্রুক্ষেপও নেই বিজেপি। তাঁদের স্পষ্ট যুক্তি, 'চুনোপুটি ধরে রাঘব বোয়াল আড়ালের চেষ্টা।' এদিকে অনুব্রত ভাগ্য ঝুলেই রয়েছে। কারণ গরুপাচারকাণ্ডে আগে থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন তিনি। এদিকে নতুন করে জুটেছে বগটুইকাণ্ড। আর এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে খোদ সিবিআই। স্বাভাবিকভাবেই যে 'অনুব্রতর কথা ছাড়া বীরভূমের পাতা নড়ে না', সেই অনুব্রতকেই নিয়ে এখন চিন্তায় রয়েছেন অনুগামীরা।
আরও পড়ুন, কয়লাকাণ্ডে ইডি-র তলবকে চ্যালেঞ্জ সস্ত্রীক অভিষেকের, আগামী সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টে শুনানি
অনুব্রত মণ্ডলকে বিরোধীরা অনেকেই মশকরা করে 'বীরভূমের ছোটো মুখ্যমন্ত্রী' বলেন। এদিকে হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্বাভাবিকভাবেই খুব খুশি বিজেপি নের্তৃত্ব। রামপুরহাটকাণ্ডে জেলা নের্তৃত্বের ভূমিকা খতিয়ে দেখা উচিত, ইতিমধ্যেই জানিয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীদের বক্তব্য বিশেষত অনুব্রুত মণ্ডলকে ঘিরেই। তবে তৃণমূলের ভিতরে আনারুলকে বিশেষ করে গ্রেফতারের পর অনুব্রতকে নিয়ে ব্লক সভাপতির অনুগামীরা অনেকেই কথা তুলেছেন। তবে বগটুইকাণ্ডই হোক কিংবা গরু পাচার, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছেই আপাতত ঝুলে রয়েছে বীরভূমের কেষ্টর ভাগ্য।