মালদহে ফের অপরাধমূলক কাজে নাম জড়াল শাসকদলের। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার তৃণমূল নেতা। মত্ত অবস্থাতেও ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা বলে অভিযোগ।
মালদহে ফের অপরাধমূলক কাজে নাম জড়াল শাসকদলের। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার তৃণমূল নেতা। মত্ত অবস্থাতেও ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা বলে অভিযোগ।ব্যাস সুরার গুণাগুণ আর যাবে কোথায়, আকষ্ঠ সুরায় ডুবে যাকে সামনে পাচ্ছেন, তাকেই নাকি পিস্তল তাঁক করছেন ওই তৃণমূল নেতা। আর নেতা এই লীলায় মরতে মরতে বেঁচেছেন অনেকেই। পূরণ মুশহর নামের ওই তৃণমূল নেতাকে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের ভালুকাবাজার এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের ভালুকাবাজার এলাকায় পূরণ মুশহর নামের ওই তৃণমূল নেতা মত্ত অবস্থায় বন্দুক নিশানা করে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। কয়েকজনকে আবার তাড়াও করেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি মূলত ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতর সদ্য অপসারিত পঞ্চায়েত প্রধান মিনু মুশহরের স্বামী। পূরণ মুশহর নামের ওই তৃণমূল নেতাকে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করেছেন। ধৃতকে ইতিমধ্যেই চাঁচল মহাকুমা আদালতে তোলা হয়। আগ্নেয়াস্ত্রটি তিনি কোথায় পেলেন, তা জানতে পূরণ মুশহর নামের ওই তৃণমূল নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তৃণমূল নেতার এহেন তাণ্ডব প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের বিরোধী দল।
আরও পড়ুন, শুভেন্দু বসায় ভেঙে পড়েছিল খাট, ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার পরিবারকে নতুন করে কিনে দিল তৃণমূল
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের পেমাই এলাকার একটি আমবাগানে দেশি পিস্তল হাতে ঘোরাঘুরি করছিলেন পূরণ। ওইসময় মত্ত অবস্থায় যাদেরই সামনে দেখেছেন, তাঁদের তিনি তাড়া করেছেন বলে অভিযোগ। কয়েকজনকে সামনে পেয়ে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার হুমকি পর্যন্ত দেন। এদিকে প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান মিনু মুশহরের স্বামীর এহেন কীর্তি দেখে আতঙ্কিত বাসিন্দারা নিজেরাই পুলিশে খবর দেন। এরপরেই পূরণকে গ্রেফতার করে ভালুকা ফাঁড়ি নিয়ে আসে পুলিশ। ফাঁড়িতে এসে কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। যদিও তার আগে পিস্তল টি তিনি কোথা থেকে পেয়েছেন জানতে চায় পুলিশ। আর এরপরেই ভেবে বলছি বলে টেনে ঘুম দেন পূরণ।
আরও পড়ুন, আজ থেকেই কি ফের তেড়েফুঁড়ে ঝড়-বৃষ্টি শুরু, অপেক্ষায় কলকাতা-দক্ষিণবঙ্গ
বিজেপির জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া বলেন, 'এখন এটাই তৃণমূলের সংষ্কৃতি। এমন অস্ত্র তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মীর কাছেই আছে।' জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি বলেছেন, 'তৃণমূল কাউকে অস্ত্র দিয়ে দাদাগিরি করার লাইসেন্স দেয়নি। কেউ বেআইনি কিছু করলে , আইন আইনের পথে চলবে। ' উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিশেষ করে বগটুইকাণ্ডের পরপর রাজ্যের সমস্ত অপরাধমূলক কিছু দেখলেই তাঁদেরকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। উদ্বার করতে বলেছেন বেআইনি অস্ত্র। কার্যতই তারপর থেকেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ।