খড়দহে রাস্তায় ফেলে তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। রাজ্যের একের পর এক হিংসাকাণ্ডের পর খড়দহের পাতুলিয়া থানা এলাকায় নতুন করে এই ঘটনা রাজ্য-রাজনীতিকে আরও উসকে দিয়েছে।
খড়দহে রাস্তায় ফেলে তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। রাজ্যের একের পর এক হিংসাকাণ্ডের পর খড়দহের পাতুলিয়া থানা এলাকায় নতুন করে এই ঘটনা রাজ্য-রাজনীতিকে আরও উসকে দিয়েছে। সরকারি আবাসনের এলাকা দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। যার জেরে আর শুধু মৌখিখ সংঘাতে আটকে থাকেনি, মাঝরাস্তায় প্রকাশ্যে এক তৃণমূল কর্মীকে মাটিতে ফেলে মুখ ফাঁটিয়ে দিয়ে মারধোরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতা আশীষ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, খড়দহ পাতুলিয়া সরকারি আবাসন এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয় নতুন ও পুরোনো তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন আর তৃণমূল কর্মী মনোজ বাউরি। আর এর পরেই ঘটনা মোড় নেয়। তখন সোমনাথ দে ফোন করেন, পাতুলিয়া সরকারি আবাসনের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আশীষ চক্রবর্তীকে।এরপরেই আশীষ চক্রবর্তী দলবল নিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী মনোজ বাউরির উপরে মোটবাইক থেকে ফেলে তাঁকে মারধোর করার অভিযোগ ওঠে। বেধড়ক মারে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপরেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী মনোজ বাউরিকে খড়দহ বলরাম সেবা মন্দির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এমন কি এই ঘটনার পর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে রহড়া থানায়।
যদিও মনোজ বাউরির উপর হামলা-মারধোরের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আশীষ চক্রবর্তী। পাল্টা তার অভিযোগ, মনোজ বাউরি এলাকায় মদ্যপান করে একালার অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। যদি এই ঘটনায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আশীষ চক্রবর্তী দাবি করেছেন, মনোজ বাউরিকে শাস্তি দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। এমনকি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেও সে যুক্ত নয়। এই ঘটনা নিয়ে পাতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শুকুর আলি জানিয়েছেন, একটা ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগাযোগ নেই।
আরও পড়ুন, যৌন সঙ্গমের পরেই কি খুন, বীরভূমের কীর্ণাহারে বিধবা মহিলার দেহ উদ্ধার
আরও পড়ুন, বেআইনি অর্থলগ্নির সংস্থার প্রতারণার পর্দা ফাঁস, নাসিক থেকে কলকাতা পুলিশের জালে ১৪
রাজ্যের একের পর এক বিতর্কিত ঘটনায় বারবার নাম জড়াচ্ছে তৃণমূলের। বগটুই, ঝালদা, হাঁসখালি, খড়দহ, ফলতা, বাঁশদ্রোণী প্রায় প্রতিটি জায়গায় হিংসার ঘটনা নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের। বগটুই-এ অগ্নিদগ্ধ হয়ে গণহত্যা, হাঁসখালির গণধর্ষণ করে নাবালিকার মৃতদেহকে প্রমাণ লোপাটের জন্য দাহ করা থেকে শুরু করে সদ্য ঘটে যাওয়া ভাঙড়কাণ্ডেও তৃণমূলের নাম জড়িয়েছে। যেখানে পারিবারিক সম্পত্তি জেরে এক মহিলাকে গুলি করে খুন করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।