সংক্ষিপ্ত

বীরভূমে উদ্ধার বিধবার রক্তাক্ত দেহ। পুলিশের সন্দেহ, মৃত্যুর আগে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছিলেন ওই মহিলা।

বীরভূমে উদ্ধার বিধবার রক্তাক্ত দেহ। যৌন সঙ্গমের পরেই খুন বলে সন্দেহ পুলিশের। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সঞ্জু বাগদি। বয়স ৩৮ বছর। সোমবার বীরভূমের কীর্ণাহার থানা এলাকায় হরানন্দপুর গ্রামে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে। হরানন্দপুর গ্রামের মাঠ থেকে গলায় শাড়ি পেঁচানো ওই গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গৃণহবধূকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কিনা, জানতে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এদিকে বাইশ সালে পা দিয়েই একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। কোথাও ধর্ষণ করে খুন, কোথাও ধর্ষণ করে মৃতদেহ দাহও করে দেওয়া হচ্ছে। মালদহ, মাটিয়া, হাঁসখালি, ময়নাগুড়ি, শান্তিনিকেতন গণধর্ষণ কাণ্ডের পর এমনিতেই উত্তাল রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাম-বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সকালে মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন কিছু কৃষক। তাঁরাই এলাকার মহিলাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। ওই মুহূর্তে গলায় শাড়ির ফাঁস দেওয়া ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁরা। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকায় অনুমান করা হচ্ছে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন কীর্ণাহার থানার পুলিশ। বছর ৩৮ বছরের ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে বোলপুর মহাকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। মাঠের মধ্যে কীভাবে ওই মহিলার দেহ এল, এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।ইতিমধ্য়েই প্রত্যক্ষদর্শীদের একপ্রস্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে স্থানীয় বাসিন্দা এবং মৃতার আত্মীয় স্বজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

আরও পড়ুন, স্বামী শ্রীঘরে, বাড়ি ভাড়া নিয়ে পরপুরুষের সঙ্গে লিভ ইনে নৃত্যশিল্পী, দিতে হল বড় মাশুল

আরও পড়ুন, 'আমাকে বলেছিল, ধর ওকে রেপ করব', হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই-র কাছে এল ভয়াবহ তথ্য

শোনা গিয়েছে, ৩৮ বছরের মঞ্জু বাগদীর স্বামী বহুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন। তারপর থেকে তিনি একাই থাকতেন। স্থানীয়দের দাবি, বিধবা ওই মহিলার সঙ্গে একজনের প্রেমের সম্পর্ক হয়। পুলিশের সন্দেহ, মৃত্যুর আগে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছিলেন ওই মহিলা। চূড়ান্ত মুহূর্তেই তাঁকে শ্বাস রোধ করে খুন করা হয়েছে। পুরো বিষয়টিই এখন তদন্ত সাপেক্ষ। কার সঙ্গে মঞ্জু বাগচির প্রেমের সম্পর্ক ছিল, সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। পুরো ঘটনাটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে এে আরও পরিষ্কার হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা উঠে আসছে। তবে সম্প্রতি সঙ্গমের পরে খুনের আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্য়ে আসে বসিরহাটে। স্বামী জেলে থাকাকালীনই পরপুরুষের সঙ্গে গভীর সম্পর্কে জড়ায় স্ত্রী। পরকীয়ার দাপটে আলাদা বাড়িতে গিয়ে লিভ ইন করা শুরু করে। এদিকে আচমকাই ওই গৃহবধূর দেহ উদ্ধার হয়। সেখানেও পলাতক প্রেমিক। 

আরও পড়ুন, শান্তিনিকেতন গণধর্ষণকাণ্ডে পুলিশের জালে ২ নাবালক-সহ চার, স্কেচ ও মোবাইল লোকেশনেই অভিযান সফল