চলে গেলেন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়। মঙ্গলবার ভোর ৪.৩৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা যান কৃষ্ণা রায়। বুধবার দেহ নিয়ে আসা হবে কলকাতায়। কিছুদিন আগেই তার ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয় চেন্নাই চিকিৎসার কারণে। ইতিমধ্যেই শুভ্রাংশু রায় রয়েছেন চেন্নাইতে।এর পর সমবেদনা জানাতে একে একে মুকুল রায়ের সল্টলেকের বাড়িতে হাজির হচ্ছেন বিভিন্ন নেতা ও মন্ত্রীরা।প্রথমে আসেন বিধাননগরের পৌর প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তী, তারপর আসেন দমকল মন্ত্রী তথা বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বোস ও শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন মুকুল রায়ের সহধর্মিনীর মৃত্যু সংবাদে ও আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহকর্মী সহযোদ্ধা মুকুল রায় তাঁর সহধর্মিণীর মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত ,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সকলকে পাঠিয়েছেন তার পাশে থাকার জন্য, অভিষেক নিজে ফোন করেছে, বিধানসভা আছে তবু একবার যাও, বহুদিন ধরে তিনি ভুগছিলেন 56 দিন পর আজ পরলোকগমন করেছেন ,আমরা পাশে আছি তৃণমূলের পরিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি পরিবার এবং পাশে থাকবো ,এখন স্মৃতিচারণা করবার মতো মানসিক অবস্থায় নেই অনেকদিন কথা হয়েছে একসঙ্গে খেয়েছি বিজপুর এর বাড়িতে গেছিলাম একসঙ্গে কথা হতো আমি চাকরি সূত্রে কল্যাণীতে যেতাম মুকুলের সঙ্গে কথা হত, পারিবারিক অভিজ্ঞতা বলতে গেলে শোকাহত হব আজকে না হয় নাইবা বললাম।
সুজিত বোস বলেন দেখুন মুকুল রায় এর সহধর্মিনী মারা গেছে আমাদের সকল নেতৃত্ব এখানে উপস্থিত হয়েছে পার্থ দা এসেছিলেন,আমি আছি কৃষ্ণা দি আছে মুকুলদা দীর্ঘদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, মুকুল দা দীর্ঘদিন আমাদের সাথে আছেন ,দীর্ঘদিন তৃণমূল পরিবারের সাথে আছেন, খুবই দুঃখের ঘটনা আমরা এসেছি আরেকটা কথা আমাদের পার্টি নেতৃত্ব তিনি ছিলেন আমাদের সাথে এখনো আছেন এবং আমরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।