রত্নদ্বীপ মান্না ১৯৯৮ সাল থেকে মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরির হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছেন। দলের সক্রিয় সদস্য তিনি। ভেবেছিলেন কাঁথি পুরভোটে দলের তরফে তাঁকে টিকিট দেওয়া হবে। কিন্তু, টিকিট পাননি তিনি।
ত্রিপল চুরির (Tripal Theft Case) মামলায় নাম জড়িয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও তাঁর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীর। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন কাঁথি পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য তথা তৃণমূল নেতা রত্নদ্বীপ মান্না (Ratnadeep Manna)। যদিও এবার সেই মামলা প্রত্যাহার (Case Withdraw) করতে চলেছেন তিনি। পুরভোটে টিকিটের (WB Municipal Elections 2022) আশা করেছিলেন ওই তৃণমূল নেতা (TMC Leader)। যদিও দল তাঁকে কোনও টিকিট দেননি। আর সেই কারণে দলের বিরুদ্ধে অভিমান রয়েছে তাঁর। যদিও মামলা তোলার কারণ হিসেবে নিজের 'প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কার' কথা জানিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী অখিল গিরির ঘনিষ্ঠ রত্নদ্বীপ মান্না
রত্নদ্বীপ মান্না ১৯৯৮ সাল থেকে মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরির (Akhil Giri) হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছেন। দলের সক্রিয় সদস্য তিনি। ভেবেছিলেন কাঁথি পুরভোটে দলের তরফে তাঁকে টিকিট দেওয়া হবে। কিন্তু, টিকিট পাননি তিনি। এনিয়ে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, "তৃণমূল কংগ্রেস আমাকে আর হয়তো ব্যাকআপ দেবে না। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ অনেকেই বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের টিকিট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, আমি টিকিট পেলাম না।"
আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশেও 'খেলা হবে', বল হাতেই বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ মমতার
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রত্নদ্বীপ
তবে মামলা তোলার ক্ষেত্রে অন্য তত্ত্ব খাঁড়া করেছেন তৃণমূল নেতা। পুরভোটে টিকিট না পাওয়ার জন্য নয়, নিজের প্রাণ সংশয় রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। সেই কারণেই ওই মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কোনও কিছুর পরোয়া না করে শুভেন্দু অধিকারী-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ত্রিপল চুরির মামলা করেছিলাম। কিন্তু এখন প্রাণহানির আশঙ্কা করছি। আমি সব সমস্যা মিটিয়ে নিতে চাই। শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরাই এখন তৃণমূলের টিকিট পেয়েছেন। আমাদের দলে এখন ওঁর লোকজন রয়েছে। তাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পরিবারের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।"
আরও পড়ুন- অসন্তোষ অব্যাহত, মমতার নির্দেশ না মেনে প্রার্থী হলে নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা
প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত তৃণমূলের
এদিকে পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই জেলায় জেলায় অব্যাহত রয়েছে বিক্ষোভ। টিকিট না পেয়ে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। কয়েকজন আবার টিকিট না পেয়ে অভিমানে যোগ দিচ্ছেন অন্য দলে। একাংশ আবার নেতৃত্বের ‘সিলমোহর’ দেওয়া প্রার্থী তালিকা না মেনে বিভিন্ন জায়গায় দলীয় প্রার্থী হিসেবে বা নির্দল হিসেবে পুরসভার নির্বাচনে (Municipal Election) মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দল। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘোষণা করেছেন, দলীয় নেতৃত্বের সই করা যে তালিকা জেলায় জেলায় পাঠানো হয়েছে সেটাকেই মানতে হবে। সূত্রের খবর, ওই তালিকায় নাম নেই এমন কেউ যদি গিয়ে মনোনয়ন জমা দেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলনেত্রীর নির্দেশ অবমাননা বলে ধরে নিয়ে সেই নেতা বা নেত্রীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলার স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- মমতার সব স্লোগানকে ছাপিয়ে গেল 'খেলা হবে', যোগী রাজ্যেও কী পাবে সাফল্য