মমতার সব স্লোগানকে ছাপিয়ে গেল 'খেলা হবে', যোগী রাজ্যেও কী পাবে সাফল্য


নির্বাচনী ভাষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যেত, 'খেলা হবে, জেতা হবে, দেখা হবে'। মূলত বিজেপির বিরুদ্ধেই এই স্লোগান ব্যবহার করতেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর নিশানায় ছিল বাম ও কংগ্রেস জোট। সেই সময় দলনেত্রী তো বটেই রাজ্যের প্রতিটি ছোট বড় তৃণমূল নেতার মুখে মুখে ফিরত এই স্লোগান। 

Web Desk - ANB | Published : Feb 9, 2022 5:30 AM IST

গত লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Ekection) গেরুয়া ঝড়ের দাপটে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) আসন সংখ্যা কমেছিল। মিডডে মিল, কাটমানিসহ একাধিক দূর্ণীতির দায়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের নামও সামনে আসছিল। এই পরিস্থিতি বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) দলকে টেনে তোলার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bnaerjee) স্লোগান তুলেছিলেন 'খেলা হবে' (Khela Hobe)। প্রাক নির্বাচনী সমাবেশ তো বটেই নির্বাচন পরবর্তী বাংলাতেও রীতিমত জনপ্রিয় হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্লোগান। বাংলার ভোটের সময়ই 'খেলা হবে' স্লোগান বাংলার গণ্ডি চাড়িয়েছিল। কাশ্মীরের নেত্রী মেহেবুবা মুফতিসহ দেশের প্রথমসারির রাজনীতিবিদের মুখে অনেক সময় শোনা গিয়েছিলেন এই স্লোগান। সেই সূত্র ধরে বলা যেতে পারেই 'খেলা হবে'  স্লোনাগান নতুন করে জনপ্রিয়তা দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মমতাই সেই স্লোগান পৌঁছে দিয়লেন তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশে (UP)। 

নির্বাচনী ভাষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যেত, 'খেলা হবে, জেতা হবে, দেখা হবে'। মূলত বিজেপির বিরুদ্ধেই এই স্লোগান ব্যবহার করতেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর নিশানায় ছিল বাম ও কংগ্রেস জোট। সেই সময় দলনেত্রী তো বটেই রাজ্যের প্রতিটি ছোট বড় তৃণমূল নেতার মুখে মুখে ফিরত এই স্লোগান।  যা নিয়ে একটা সময় প্রবল আপত্তি জানিয়েছিলে প্রতিপক্ষ বিজেপি। কিন্তু সেসব কিছুর তোয়াক্কা না করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক জনসভায় খেলা হবে স্লোগান তুলেছেন। পাল্টা উৎসাহী জনতা এই স্লোগান তুলেছে। 

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কথায় ২০১১ সালে বাম সকরারের পতনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্লোগান তুলেছিলেন 'বদলা নয় বদল চাই' তার থেকেই বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে খেলা হবে স্লোগানটি। এই স্লোগান এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বিশেষ দিনের নাম করণে করেছে 'খেলা হবে দিবস' নামে। ১৬ অগাস্ট এই রাজ্যে পালন করা হয় খেলা হবে দিবস হিসেবে। রাজ্যের নবীন প্রজন্ম যাতে খেলাধূলায় আরও উন্নতি করতে পারে তার জন্যই এই বিশেষ দিন পালনের উদ্যোগ নিয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে এই দিনে স্মরণ করা হয় ১৯৮০ সালে ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত ডার্বি ম্যাচের দুর্ঘটনার কথা। সেই দিনে পদপিষ্ট হয়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। 

কিন্তু সেই জনপ্রিয় স্লোগানই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যবহার করলেন উত্তর প্রদেশে। অখিলেশের পাশে দাঁড়িয়ে মঞ্চ থেকে শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বল ছুড়ে দিয়ে একেবারেই নিজস্ব  স্টাইলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খেলা হবে স্লোগান তুললেন। সেখানেই তিনি বলেছিলেন বিজেপিকে হারাতেই এই খেলা হবে স্লোগান। যদিও তৃণমূলের নেতারা ত্রিপুরা পুরোভোটেও এই স্লোগান তুলেছিল। 

যদিও বাংলা বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মদন মিত্রকে বলতে শোনা যেতে 'এবার বিধানসভা নির্বাচনে খেলা হবে। ২০২১ এ তৃণমূল পাবে ২২১।' কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে মদন মিত্রর এক কথাকেই স্লোগানের রূপ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে  'বদলা নয় বদল চাই' যতটা রাজনৈতিক স্লোগান তার তুলনায় অনেক বেশি সামাজি স্লোগান 'খেলা হবে' হবে। তাই এর জনপ্রিয়তাও অনেক বেশি। অনেকটা সেই কারণেই এই স্লোগান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনেক বেশি মাইলেজও দিয়েছে। তবে মমতা তোলা স্লোগানগুলি - চমকাইতলায় চমকে দেব, এবার না হবে নেভার- এগুলিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে খেলা হবে স্লোগান।

শহুরে নকশালরা কংগ্রেসের চিন্তাভাবনা দখল করেছে, চড়া সুরে আক্রমণ মোদীর
নেহেরুর জন্য কারও সার্টিফিকেট দরকার নেই, মোদীকে টার্গেট রাহুলের
কর্নাটকের হিজাব 'উত্তাপ' এবার মধ্যপ্রদেশ ও পুদুচেরিতে, ছড়াচ্ছে উত্তেজনা

Share this article
click me!