এই যজ্ঞ শুধুমাত্র ছাত্র পরিষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না স্থানীয় বাসিন্দারাও এই অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যারের শারীরিক সুস্থতা কামনা করেছেন। জিয়াগঞ্জ টাউন সেন্টার সংলগ্ন এলাকায় রুদ্রদেবের মন্দিরে যজ্ঞের আয়োজন করেছিল স্থানীয় তৃনমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা।
ভবানীপুর উপনির্বাচনে (Bhabanipur By Election) রেকর্ড ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পাশাপাশি জঙ্গিপুরে জাকির হোসেন (Jakir Hossain) ও সামশেরগঞ্জে আমিরুল ইসলাম (Amirul Islam) বিধানসভার নব নির্বাচিত বিধায়ক হয়েছেন। এই খুশিতে সোমবার বিকেলে জিয়াগঞ্জে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে শুরু হয়েছে রুদ্রদেবের আরাধনা ও হোম যজ্ঞ।
এই যজ্ঞ শুধুমাত্র ছাত্র পরিষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না স্থানীয় বাসিন্দারাও এই অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যারের শারীরিক সুস্থতা কামনা করেছেন। জিয়াগঞ্জ টাউন সেন্টার সংলগ্ন এলাকায় রুদ্রদেবের মন্দিরে যজ্ঞের আয়োজন করেছিল স্থানীয় তৃনমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। কাশিমবাজার রাজ বাড়ির প্রধান পুরোহিত প্রভাস কুমার রায় সহ মোট চার জন পুরোহিত নিয়ম মেনে এই যজ্ঞের আয়োজন করেন।
মোট ৩৫ কেজি বেল কাঠ, ১৫ কেজি শাল কাঠ, চন্দন কাঠ, ১০৮ টি বেলপাতা, ১০ কেজি ঘি ও কর্পূর ব্যবহার করা হয়। যজ্ঞ অনুষ্ঠানে চণ্ডী পাঠ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য শান্তি কামনা করেন পুরোহিতরা। পরে যজ্ঞের মূল পুরোহিত প্রভাস কুমার রায় বলেন, "যে কোনও মানুষের কল্যাণ কামনায় ও সুস্বাস্থ্যের কামনা করে এই রকম যজ্ঞের আয়োজন করার রীতি আছে। এদিন আমরা আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর ভোটে জেতার জন্য এবং তাঁর শান্তি কামনায় এই যজ্ঞের আয়োজন করেছিলাম।"
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্ত রিপোর্ট জমা সিবিআইয়ের, রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মানুষকে ভোগ হিসেবে কাউন চালের পায়েস, লুচি, রসমালাই ও সন্দেশ দেওয়া হয়। এই যজ্ঞের উদ্যোগী জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি সুমন দাস বলেন, "আমাদের মুখ্যমন্ত্রী আমাদের মায়ের মতো। আমরা জানতাম উনি ভোটে জিতবেন, কিন্তু তাঁর সার্বিক মঙ্গল কামনা করে আমরা এই যজ্ঞের আয়োজন করি। এখানে রাজনৈতিক নেতা কর্মী ছাড়াও এলাকার সাধারণ মানুষও উপস্থিত হয়ে তাঁর জন্য প্রার্থনা করেছেন ও যজ্ঞ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।"
আরও পড়ুন- কবে শপথ নেবেন মমতা, রাজভবনের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় বিধানসভা
রেকর্ড পরিমাণ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য ভবানীপুর আসন নিজের দখলে রেখেছেন মমতা। ২০১১ সালের ভবানীপুরের উপনির্বাচনের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন তিনি। এবার ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে জয়ী হয়েছেন। তবে মমতার জয়ের বিষয়ে ভোটের আগে থেকেই আশাবাদী ছিল তৃণমূল। বিপুল পরিমাণ ভোটে তিনি জিতবেন বলে জানিয়েছিলেন দলের প্রথমসারির নেতারা। ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, "ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিশ্চিত। ৫০ থেকে ৭০ হাজার ভোটে জিতবেন তৃণমূল নেত্রী। আমাদের কাছে মমতার ভোট লড়াই একটা উৎসব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চিত জিতবেন, সবাই জানে। কত ভোটে জিতবেন, তার প্রতিক্ষায় সবাই।" তাঁর কথাই সত্যি হয়ে যায় নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর।