সংক্ষিপ্ত

সংবিধান অনুযায়ী, মন্ত্রী, বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। তবে রাজ্যপাল চাইলে বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করানোর ক্ষমতা অন্য কারও হাতে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সাধারণত তা স্পিকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

ভবানীপুর উপনির্বাচনে (Bhabanipur By Election) রেকর্ড ভোট পেয়ে 'মুখ্যমন্ত্রী'-র পদ ধরে রাখতে সফল হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পাশাপাশি জঙ্গিপুরে জাকির হোসেন (Jakir Hossain) ও সামশেরগঞ্জে আমিরুল ইসলাম (Amirul Islam) বিধানসভার নব নির্বাচিত বিধায়কও রয়েছেন। তাঁদের সবাইকেই শপথ বাক্য পাঠ করাতে হবে। কিন্তু, এখন প্রশ্নটা হচ্ছে এই শপথ বাক্য কে পাঠ করাবেন? পাশাপাশি কোথায় তাঁদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। এই সব বিষয় নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। 

সংবিধান অনুযায়ী, মন্ত্রী, বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। তবে রাজ্যপাল (Governor) চাইলে বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করানোর ক্ষমতা অন্য কারও হাতে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সাধারণত তা স্পিকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সপ্তদশ বিধানসভার সদস্যরা যেদিন শপথ নিয়েছিলেন, সেদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ই (Jagdeep Dhankhar) তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করিয়ে ছিলেন। আর বিধানসভায় যেদিন শপথবাক্য পাঠ করানো হয় সেদিন পোর্টেম স্পিকার সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Biman Banerjee) শুধু শপথবাক্য পড়িয়েছিলেন জগদীপ ধনখড়। এরপরই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তিনি বাকি বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করানোর অধিকার দিয়েছিলেন। তারপর বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে শপথবাক্য পাঠ করান। এতে কোনও সমস্যা ছিল না। 

আরও পড়ুন- উত্তপ্ত লখিমপুর খেরি, যোগী রাজ্যে রওনা তৃণমূলের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলের

আরও পড়ুন- 'বাংলার সর্বনাশ করেছেন, এবার বাকি জায়গার করুন', তৃণমূলের প্রতিনিধিদের উত্তরপ্রদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের

এরই মধ্যে মাত্র কয়েক দিন আগেই রাজভবন থেকে বিধানসভার সচিবালয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়, অধ্যক্ষকে শপথ বাক্য পাঠ করানোর যে অধিকার রাজ্যপাল দিয়েছিলেন, তা তিনি প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। তাই এবার আর অধ্যক্ষ নন, নতুন বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপালই। এরপরই বিধানসভা থেকে আবারও রাজভবনে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, যে কোনও রাজনৈতিক দলের যে কোনও প্রতিনিধিই বিধায়ক পদে জিতে শপথ নিতে আসতে পারেন। তাই এই প্রত্যাহার করা ক্ষমতা যেন অধ্যক্ষকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, সেই চিঠির কোনও জবাব এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে সমস্যা। ফলে মমতা, জাকির হোসেন ও আমিরুল ইসলামকে কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন ও কোথায় তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করানো হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। 

আরও পড়ুন- তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা ওড়ালেন মুর্শিদাবাদের বিধায়ক, দিলেন 'আমৃত্যু' বিজেপিতে থাকার প্রতিশ্রুতি

এদিকে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব মমতার শপথবাক্য পাঠ করানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দেবীপক্ষের মধ্যেই যাতে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করানো যায় তার প্রস্তুতি চলছে। ফলে মহালয়ার পর থেকেই যে কোনও দিন মমতা, জাকির হোসেন ও আমিরুল ইসলামকে শপথ নিতে পারেন। তবে দলের তরফে প্রস্তুতি শুরু করলেও রাজভবন থেকে যতক্ষণ না পর্যন্ত নির্দেশ আসছে ততক্ষণ কিছুই করতে পারবেন না স্পিকার। ফলে রাজভবনের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছেন সবাই। যদিও রাজ্যপালই ফের মমতাকে শপথ বাক্য পাঠ করাতে চাইছেন কিনা সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ এর আগে কখনও উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়কে শপথবাক্য পাঠ করাননি রাজ্যপাল। ফলে মমতার শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করে ফের কোনও নতুন বিতর্ক তৈরি হয় কিনা এখন সেটাই দেখার। 

YouTube video player