ভোটে জিতেও বদলাননি, 'দিদিকে বলো'-র প্রচারে বিধায়ককে নিয়ে টানাটানি কুলটিতে

  • আসানসোলের কুলটির বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়
  • 'দিদিকে বলো'-র প্রচারে তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে তুমুল উৎসাহ
  • গ্রামবাসীদের সঙ্গে বসে খিচুড়ি খেলেন বিধায়ক

‘দিদিকে বলো’-র প্রচারে গ্রামে রাত কাটাতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন শাসক দলের অনেক বিধায়কই। কিন্তু ব্যতিক্রমী দৃশ্য দেখা গেল আসানসোলের কুলটিতে।  এলাকার বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে হাতের কাছে পেয়ে উৎসবে মেতে উঠলেন গ্রামবাসীরা। দলের ঠিক করে দেওয়া কর্মসূচি অনুযায়ী যে কোনও একজন নিচুতলার কর্মী বা গ্রামবাসীর বাড়িতে খেয়ে রাত্রিযাপন করার কথা ছিল উজ্জ্বলবাবুর। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পরিকল্পনা বদলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে পাতপেড়ে বসে খিচুড়ি খান বিধায়ক।

কারণ গ্রামবাসীদের সবাই তাঁকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নেমতন্ন খাওয়াতে চাইছিলেন। সবার মন রাখতে তাই একসঙ্গে খিচুড়ি রান্না করে গ্রামের সবার সঙ্গে বসে খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন উজ্জ্বলবাবু। 

Latest Videos

রবিবার কুলটির ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত সীতারামপুর ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুবিহার এলাকায় পাঁচজন করে ব্যক্তির বাড়িতে যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের কাছে সমস্যার কথা জানতে চান। তারপরেই ফোন নম্বর- সহ দিদিকে বলো কার্ড দিয়ে আসেন। সেখান থেকেই রাতে চলে আসেন বড়ধাওড়া গ্রামে। বিধায়ক আসবেন বলে উৎসবের মেজাজ ছিল বড়ধাওড়াতে। রীতিমতো প্যান্ডেল খাটিয়ে, আলো জ্বেলে গ্রামবাসীরা বিধায়ককে আমন্ত্রণের ব্যবস্থা করেছিলেন। আদিবাসী গ্রামের ছোট ছোট মেয়েরা শাড়ি পরে সেজেছিল। বিধায়ককে স্বাগত জানাতে  ধামসা মাদল নিয়ে গ্রামের পুরুষরা তৈরি ছিলেন। মহিলাও নাচের আয়োজন করেছিলেন। বিধায়ক মোটরবাইক থেকে নামতেই শিশুদের দল বিধায়কের হাত ধরে গ্রামের দেন  উজ্জ্বলবাবু। তারপর মাঝ রাতে বিশ্রাম করতে চলে যান শান্ত সোরেনের বাড়িতে। টালির চাল আর মাটির দেওয়ালের ঘরে দড়ির খাটিয়াতে শুয়েই বাকি রাত কাটিয়ে দেন তিনি।

গ্রামবাসীরা অবশ্য বলেন, উজ্জ্বলবাবু এভাবেই মাঝেমধ্যে তাঁদের গ্রামে চলে আসেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে কখনও ভাত বা মুড়ি খেয়ে রাত কাটিয়ে যান। গত কুড়ি বছর ধরে এটাই তাঁর অভ্যাস। স্থানীয় কাউন্সিলর রাজু কর্মকার জানান, উজ্জ্বলবাবু আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। আসানসোলে তাঁর অফিস রয়েছে, সরকারি গাড়িও পান তিনি। কিন্তু সরকারি কাজ বা দলের কাজ, কোনও সময়ই গাড়ি চড়েন না তিনি। মোটরসাইকেল চড়েই ঘুরে বেড়ান বিধায়ক। কখনও নিজে চালান, কখনও আবার অন্য কেউ গন্তব্যে পৌঁছে দেন। কুলটির চিনাকুড়ির একটি গুমটি ঘরে জনতার দরবার চালান। এখনও ইসিএলের নোনা ধরা ভগ্নপ্রায় ঘরেই থাকেন তিনি। সব সময়ই অত্যন্ত সাধারণ পোশাকে তাঁকে দেখতে অভ্যস্ত কুলটির মানুষ। আর এমন সাধারণ জীবনযাপন করেই এলাকার বাসিন্দাদের কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন উজ্জ্বলবাবু। 

 উজ্জ্বলবাবু বলেন, 'কুলটিতে জলকষ্ট রয়েছে। জলের সমস্যার কথাই সবাই জানিয়েছেন।আমি তাঁদের বলেছি জলপ্রকল্পের কাজ একেবারে শেষের মুখে। হয়তো কয়েকমাসে মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে।' 
 

Share this article
click me!

Latest Videos

আর ৮ মাস! জুলাই-অগাস্টে রাজ্যে অকাল ভোট হতে চলেছে! জানালেন BJP সাংসদ | BJP News | Samik Bhattacharya
অসাধ্য সাধন! যথেষ্ট পরিকাঠামো না থাকার সত্ত্বেও ৮০০ গ্রামের শিশুকে বড় করে তুলল বারাসাত মেডিক্যাল
TMC-কে ভোট দিলেই মিলছে ঠোঙা ভর্তি মুড়ি ও চানাচুর! শোরগোল মেদিনীপুরে | Midnapore | WB By election
'ভাইপোর চাকর পুলিশ কেন বিজেপি পোলিং এজেন্টদের গ্রেফতার করল?' গর্জে উঠে প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু
বাজার থেকে ফেরার পথেই ঘটলো অঘটন! আতঙ্কের ছায়া শান্তিপুরে, দেখুন | Nadia News Today