পুরসভায় নিয়োগে 'স্বজনপোষণ', বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন খোদ বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান

  • পুরসভায় নিয়োগে 'স্বজনপোষণ'
  • পরীক্ষায় সাদা খাতা জমা দিয়ে মিলেছে চাকরি
  • বিস্ফোরক অভিযোগ বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যানের
  • বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল
     

Asianet News Bangla | Published : Jun 25, 2020 7:01 PM IST / Updated: Jun 26 2020, 12:33 AM IST

উত্তম দত্ত, হুগলি: তাহলে কী পরীক্ষা সাদা খাতা জমা দিয়েই চাকরি পেয়ে গেলেন কর্মপ্রার্থীরা! তৃণমূল পরিচালিত চুঁচুড়া পুরসভায় কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এবার নয়া মাত্রা যোগ করলেন খোদ বিদায়ী পুরবোর্ডে ভাইস চেয়ারম্যান অমিত রায়। ভোটের আগে বিড়ম্বনা বাড়ল রাজ্যের শাসকদলের। 

আরও পড়ুন: বাগনানকাণ্ডে মৃতার দেহ নিয়ে বিক্ষোভ স্থানীয়দের, ভাঙচুর চলল অভিযুক্তের বাড়িতে

পুরসভার ৭৬টি পদে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় বারো হাজার। হুগলির চুঁচুড়া পুরসভায় পিয়ন ও মজুদর পদে নিয়োগের পরীক্ষা হয় মার্চ মাসে। কিন্তু অ্যাডমিট কার্ড না পাওয়ার শেষপর্যন্ত অনেকেই পরীক্ষায় বসতে পারেননি বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়। সফল প্রার্থীদের নামের তালিকা যখন প্রকাশ করা হয়, শুধুমাত্র কাউন্সিলরের ছেলে-জামাই-ভাইপো ও নিকটাত্মীয়রাই চাকরি পেয়েছেন! স্বজনপোষণের অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। ঘটনার প্রতিবাদে পুরসভা চত্বরে শুরু হয় বিক্ষোভ-ধরনা। 

হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষণ আবার খোদ পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আন্দোলনের চাপে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেন। কিন্তু ঘটনা হল, নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের কোনও লিখিত নির্দেশ আসেনি চুঁচু়ড়া পুরসভায়। ফলে সফল প্রার্থীরা যথারীতি  চাকরিতে যোগ দিয়েছেন।  এই যখন পরিস্থিতি, তখন কার্যত বোমা  ফাটালেন চুঁচুড়া পুরসভার বিদায়ী ভাইস চেয়াকম্যান অমিত রায়। তিনি বলেন,  পুরসভায় নিয়োগ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তবে দেখেছেন, পরীক্ষায় সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি পেয়ে গিয়েছেন অনেকেই!

আরও পড়ুন: আগামী ১২ অগস্ট পর্যন্ত চলবে না লোকাল ট্রেন-মেল, সিদ্ধান্ত ভারতীয় রেলের

এদিকে খোদ ভাইস চেয়ারম্যানের এই বিবৃতির পর পুরসভার নিয়োগ নিয়ে সুর আরও চড়েছে বিজেপি। দলের নেতা স্বপন পাল বলে, স্বজনপোষন তো বটেই, লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিময়ে কর্মী করা হয়েছে পুরসভায়। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি। 

Share this article
click me!