ঘটনা পর থেকেই পলাতক সারওয়াত। শুক্রবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মুর্শিদাবাদের ডুমুরতলা এলাকায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ছাগল কেনা নিয়ে বিবাদের জেরে এক গ্রামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্যার ছেলের বিরুদ্ধে। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয় তাঁকে। তাঁর গলায়, বুকে ও পেটে গুলি লাগে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্যদের ছেলে সারওয়াত শেখের তিনজন সাগরেদকে। যদিও ঘটনা পর থেকেই পলাতক সারওয়াত। শুক্রবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মুর্শিদাবাদের ডুমুরতলা এলাকায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের ইন্টারভিউ শুরু ১৯ জুলাই, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডুমুরতলা এলাকায় একটি দোকানে আমিরুল মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি বসে ছিলেন। তখনই তাঁর সঙ্গে সারওয়াতের ছাগল কেনা নিয়ে ঝামেলা হয়। এরপরই আচমকা মোটর বাইকে চড়ে এসে আমিরুলকে ঘিরে ধরে কয়েক জন দুষ্কৃতী। অভিযোগ, তাঁকে নিশানা করে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে একের পর এক গুলি চালায় তারা। আমিরুলের গলায়, বুকে ও পেটে গুলি লাগে। মুহূর্তের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
আরও পড়ুন- আলুতে বিনিয়োগ করলে মিলবে বেশি টাকা, মহিলা প্রতারকের ফাঁদে পড়ে ১ কোটি খোয়ালেন গবেষক
এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ডুমুরতলা আট নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের জনপ্রতিনিধির ছেলে সারওয়ার ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন- যাত্রী সুরক্ষায় কলকাতা বিমানবন্দরে শুরু হবে করোনা পরীক্ষা, রিপোর্ট ১৫ মিনিটেই
আমিরুলের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, আমিরুলের সঙ্গে গ্রামের হাট থেকে ছাগল কেনা নিয়ে সারওয়ারের ঝামেলা হয়েছিল। বদলা নিতেই সারওয়ার সাগরেদদের নিয়ে গিয়ে আচমকা গুলি করে আমিরুলকে হত্যা করে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও পলাতক সারওয়ার। তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ধৃতদের আজ আদালতে তোলা হলে তাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। তাদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।