আশিস মণ্ডল, বীরভূম: 'লোকসভা ছিল মোদির ভোট। হিন্দুরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। তবে বিধানসভায় দিদির ভোটে সবাই তৃণমূলকেই ভোট দেবে।' বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে এভাবেই লোকসভা ভোটে পরাজয়ের এমনই ব্যাখ্যা শুনতে হল তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে।
আরও পড়ুন: 'বাংলায় আবাস যোজনা'য় মেলেনি বাড়ি, দুর্ঘটনার হাত থেকে বরাতজোরে রক্ষা পরিবারের
শিয়রে বিধানসভা ভোট, তৃণমূলের বুথভিত্তিক কর্মিসভা চলছে বীরভূমে। বুধবার মুরারই ২ নম্বর ব্লকের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয় হিয়াতনগর হাইমাদ্রাসায়। আমডোল, নন্দীগ্রাম শেষে পাইকর অঞ্চলের বুথ ধরে ফলাফল পর্যালোচনা করা হয়। নন্দীগ্রাম এবং পাইকড়ের বেশ কয়েকটি বুথে লোকসভা ভোটে ভালো ফল করেছে বিজেপি। কারণটা কি? অনুব্রতর প্রশ্নের উত্তরে কেউ বললেন হিন্দুরা সবাই বিজেপিকে ভোট দিয়েছে, তো কারও মতে, লোকসভা ছিল মোদির ভোট। দিদির ভোটে তৃণমূলই এগিয়ে থাকব। নন্দীগ্রাম অঞ্চলের কয়েকজন বুথ সভাপতি আবার পানীয় জলের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তৎক্ষণাৎ অনুব্রত মণ্ডল বুথ সভাপতিকে নির্দেশ দেন কোথাও যেন পানীয় জলের সমস্যা না হয়। পঞ্চায়েত সমিতি না পারলে জেলা পরিষদে প্রকল্প জমা দিন। না হলে যেন তাঁকে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: শোক প্রকাশ করে মুখ্য়মন্ত্রী জানতে পারলেন মন্ত্রী এখনও বেঁচে
আমডোল গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর রামচন্দ্রপুর গ্রামের বুথ সভাপতি মহম্মদ রেন্টু বলেন, 'আমাদের গ্রামের ৮০ শতাংশ মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। কিন্তু গ্রামের সঙ্গে শহরের কোন যোগাযোগ নেই। কারণ, পাগলা নদী গ্রামকে ঘিরে রেখেছে। একটি সেতুর অভাবে মানুষশিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল সহ সব দিক থেকে বঞ্চিত। যদি নদীর উপর সেতু গড়ে দেওয়া হয় তাহলে ৯৯ শতাংশ ভোট তৃণমূল পাবে।'অনুব্রত মণ্ডল বলেন, 'লম্বা যত হবে হোক, চওড়া ২০ মিটার হলে সেতু আমরাই গড়ে দেব।' বিকেল পর্যন্ত তিনটি অঞ্চলের সঙ্গে কথা বলে অনুব্রত মণ্ডল চলে যান জাজিগ্রামে। সেখানে বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম ছেড়ে বহু মানুষ তৃণমূলে যোগদান করেন।