সংক্ষিপ্ত

  • আবেদন করেও মেলেনি সরকারি সাহায্য
  • হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল মাটির বাড়ি
  • বরাতজোরে রক্ষা পেল একটি পরিবার
  • বীরভূমের মুরারই-এর ঘটনা

আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: আবেদন করেছিলেন বহূবার, কিন্তু সরকারি প্রকল্পে পাকা বাড়ি আর মিলল কই! ফলে যা হওয়ার, তাই হল। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল পুরনো মাটির বাড়ি। বরাতজোরে রক্ষা পেল একটি পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের বীরভূমের মুরারই ২ নম্বর ব্লকের পাইকর এলাকায়।

আরও পড়ুন: দুর্নীতির অভিযোগে উত্তাল রায়গঞ্জ, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে তালা ঝুলল পঞ্চায়েত অফিসে

স্বামী মারা গিয়েছেন। ছেলে, বউমা ও তিন নাতিকে নিয়ে সংসার। পাইকর পঞ্চায়েত থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে মাটির বাড়িতে থাকেন জ্যোৎস্না মাল। ছোট নাতিকে নিয়ে দিয়ে কয়েক আগে বাপের বাড়িতে গিয়েছেন বউমা। বুধবার সকালে বাড়িতে ছিল বড় নাতি আর ছেলে। সংসারের কাজে ব্যস্ত ছিলেন ওই বৃদ্ধা। আচমকাই টিনে চালে শব্দ। বাড়িটা ভেঙে পড়বে না তো! বাস্তবে ঘটলও তাই। চাঙড় ভেঙে পড়তেউ আর দেরি করেননি, তড়িঘড়ি মা ও ছেলেকে নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন জ্যোৎস্নার ছেলে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ভেঙে পড়ে বাড়ি একাংশ। জ্যোৎস্না মাল বলেন, 'সরকারি প্রকল্পে পাকা বাড়ির জন্য পঞ্চায়েত অফিস ও ব্লক অফিসে আবেদন করেছিলাম। জানানো হয়, বাংলার আবাস যোজনায় নাম নথিভুক্ত না থাকায় টাকা পাওয়া যাবে না। ছেলের রোজগারে কোনওমতে সংসার চলে যেত। লকডাউনের জেরে এখন কাজ নেই। খোলা আকাশের নিচে থাকা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।'

আরও পড়ুন: শোক প্রকাশ করে মুখ্য়মন্ত্রী জানতে পারলেন মন্ত্রী এখনও বেঁচে

আবেদন করেও 'বাংলা আবাস যোজনা'য় বাড়ি পেলেন না কেন? পাইকর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান আব্দুল গনির দাবি,  ২০১১ সালে জনগণনা রিপোর্টে জ্যোৎস্না মাল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম নেই। তাই বাড়ি পাননি তাঁরা। তবে পঞ্চায়েতে তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।