রাজ্যের একাধিক জায়গায় বাড়তি ট্রেনের দাবিতে চলছে অবরোধ, বিক্ষোভ। বুধবার সকালেই ভোরের দুটি ট্রেনের দাবিতে ব্যাপক যাত্রী বিক্ষোভ দেখা যায় ঠাকুরনগর স্টেশনে। আর তারপরেই ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ক্যানিংয়ের তালদি স্টেশনে ট্রেন অবরোধ শুরু হয়।
করোনাকালের শুরু থেকেই বড়সড় ধাক্কা খেয়েছিল ভারতীয় রেল ব্যবস্থা(Indian Railways)। যদিও দ্বিতীয় ঢেউ দূর হতেই ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে শুরু করে পুরনো ব্যবস্থা। এদিকে এবার তৃতীয় ধাপে করোনার বাড়বাড়ন্ত শুরুতেই ফের কোপ পড়েছে লোকালে। রুদ্ধ হয়েছে একাধিক ট্রেনের গতিপথ। আর তার জেরেই শুরু হয়েছে যাত্রী বিক্ষোভ। রাজ্যের একাধিক জায়গায় বাড়তি ট্রেনের দাবিতে চলছে অবরোধ, বিক্ষোভ। বুধবার সকালেই ভোরের দুটি ট্রেনের দাবিতে ব্যাপক যাত্রী বিক্ষোভ(Passenger protest) দেখা যায় ঠাকুরনগর স্টেশনে। আর তারপরেই ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ক্যানিংয়ের তালদি স্টেশনে(Taldi station in Canning) ট্রেন অবরোধ(Train blockade) শুরু হয়। সেখানকার বিক্ষোভরত যাত্রীদেরও দাবি, কোনও কারণ না জানিয়েই হঠাৎ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ভোরের প্রথম দুটি ট্রেন। তারই প্রতিবাদে একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা।
সূত্রের খবর, বুধবার সকালে ক্যানিং লাইনে তালদি স্টেশনে লাইনের উপর লোহার পাত রেখে, রেল লাইনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। যার জেরে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে অন্যান্য একাধিক লোকালও। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ ওঠানোর চেষ্টা করে আরপিএফ এবং জিআরপি। তবে শুরুতে বিশেষ কোনও সুরাহা হয়নি। এমনকী পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তির পরিস্থিতিও তৈরি হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং লাইনের প্রথম ট্রেনে করে বহু সবজি ব্যবসায়ী আসেন শিয়ালদহের কোলে মার্কেটে। অনেকের কাছেই থাকে কাচা আনাচ। কিন্তু এদিন কাঁচা শাক-সব্জি নিয়ে তারা স্টেশনে এসে দেখেন দিনের প্রথম দুটি ট্রেনই বাতিল হয়ে রয়েছে। আর তাতে ক্ষেপে ওঠেন সকলে। সব্জি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্টেশন চত্বরেই।
এদিকে একই চিত্র দেখা যায় শিয়ালদহ-বনগাঁ লাইনে ঠাকুরনগর স্টেশনেও। সেখানেও সকালের প্রথম দুটি ট্রেনের দাবিতে অবরোধ শুরু করেন ফুল বিক্রেতারা। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ফার্স্ট ট্রেন এবং সেকেন্ড ট্রেনে তারা মূলত ফুল নিয়ে কলকাতায় যান। ফুলের ব্যবসা করে তাদের পেট চলে। সকালের দুটোতে ট্রেন না চললে তারা কলকাতায় যেতে পারবেন না। অন্য সময় ফুল নিয়ে গেলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ের পাশাপাশি চাহিদাও থাকবে না। তাই দ্রুত সকালের দুটি ট্রেন পূর্ব নির্ধারিত সময়ে ফেরানোর দাবি করেন তারা। সেখানে পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামে পুলিশ। দুই লাইনেই দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর পুলিশি হস্তক্ষেপে অবশেষে উঠে যায় অবরোধ।