সংক্ষিপ্ত
শেষ বিধানসভা নির্বাচনে খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়েন অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। জিতেও আসেন তিনি। কিন্তু আচমকা তাঁর এই পদক্ষেপে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা।
কলকাতা পুরভোটে(Kolkata Municipal Election) বিজেপি-র ভরাডুবির পর থেকে রাজ্য ও জেলা স্তরে একাধিক বড়সড় রদবদল এনেছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুদার(BJP state president Sukant Majudar)। আর তাতেই বিরাগভাজন হয়েছেন একাধিক পোড় খাওয়া পদ্ম নেতাদের। এদিকে গত কয়েকদিনে বিজেপি-র সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ছেন একাধিক তাবড় তাবড় বিজেপি নেতা। তালিকায় নাম রয়েছে বনাগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের(Bangaon MP and Union Minister of State Shantanu Thakur)। এবার তালিকায় নবতম সংযোজন বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ(WhatsApp group) ছাড়লেন তিনিও। তবে কেন তিনি গ্রুপ ছাড়লেন সেই বিষয়ে এথনও খোলসা করে বিশেষ কিছুই বললেননি তারকা-রাজনীতিবিদ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শেষ বিধানসভা নির্বাচনে খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্র(Kharagpur assembly constituency) থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়েন অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়(Actor Hiran Chatterjee)। জিতেও আসেন তিনি। কিন্তু আচমকা তাঁর এই পদক্ষেপে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা।
এদিকে বিগত কয়েকমাস ধরেই বিজেপি-র বড় কোনও মিটিং মিছিলে দেখা যায়নি হিরণকে। দূরত্ব যে বাড়ছিল তা স্পষ্ট হচ্ছিল আরও একাধিক কাজেই। অবশেষে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ায় ফের শুরু হয়েছে জোরদার জল্পনা। তবে এই ক্ষেত্রে মনে রাখা ভালো, খড়গপুরের বিধায়ক হওয়ার পরপরই বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে হিরণ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের মতানৈক্যের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকী বারংবার ঘটেছে একই ঘটনা। যা নিয়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও। রেলের ব্রিজ নির্মাণকে নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত বলে জানা যায়। যদিও পরে হিরণ নিজেই বিবৃতি দিয়ে অস্বীকার করেছিলেন সবটা। তবে হিরণের দলের প্রতি ক্ষোভের পিছনে দিলীপ ঘোষের বড় হাত রয়েছে বলে মনে করচে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন-চলন্ত ট্রেন থেকে যুবতীকে ধাক্কা অস্ত্রধারী ছিনতাইবাজের, ব্যাপক উত্তেজনা শিয়ালদহ স্টেশনে
সূত্রের খবর, খড়গপুরে এই দুই নেতার অনুগামীরা এখন দুই শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছেন। আর সেই কারণেই দুই নেতাকে খড়গপুরে দলের কোনও সভাতেই একসঙ্গে দেখা যায় না। যা নিয়েও প্রায়শই তৈরি হয় নানা জল্পনা। দিলীপ ঘোষ খড়গপুরে দলের কোনও কাজে গেলে বা সভায় যোগ দিতে গেলে খড়গপুরে তখন দেখাই মেলে না হিরণের, অনেকই বলছেন এমনটাও। দিলীপ শহর ছাড়লে তবেও দেখা মেলে হিরণের। দলের মধ্যে থেকেও দুই নেতার এই আচরণে চাপ বেড়েছে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বেরও। এমতাবস্থায় হিরণ যে কোনও মুহূর্তে জার্সি বদলে পদ্ম থেকে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিতে পারেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। বাকিটা সময়ের হাতে।