ট্রলারে মোট ৬ জন যাত্রী ছিলেন। ট্রলারটি একটি বার্জকে টেনে নিয়ে গেঁখালির দিকে যাচ্ছিল।
রাখে হরি মারে কে। মাঝনদীতে ট্রলারডুবিতে আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে গেলেন যাত্রীরা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের রূপনারায়ন নদীর কাছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা গিয়েছে বুধবার সকাল নাগাদ কোলাঘাট থেকে গেঁওখালির দিকে যাচ্ছিল ওই ট্রলারটি। এমন সময় তমলুকের নারায়ণপুরের কাছে চড়ায় লেগে উল্টে যায় ওই ট্রলার।
ট্রলারে মোট ৬ জন যাত্রী ছিলেন। ট্রলারটি একটি বার্জকে টেনে নিয়ে গেঁখালির দিকে যাচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটায় ট্রলারে থাকা সকলে বার্জ উঠে যাওয়ায় বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। উল্লেখ্য দিন কয়েক আগে তমলুকে আরও একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।
কাঁথির পেটুয়াঘাটের কাছে সমুদ্রে শুক্রবার ট্রলার ডুবি হয়। ওই ট্রলারটির নাম আলামিন। নন্দীগ্রাম থেকে পেটুয়া মছস্যবন্দরে মাছ ধরার জন্য ট্রলারটি রওনা দেয়। সেইসময়ই দুর্ঘটনার মুখে পড়ে সেটি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান প্রশাসনিক আধিকারিকরা। নিখোঁজদের খোঁজ করতে তল্লাশি শুরু হয়। নামানো হয় স্পিড বোট।
পরে একে এক ট্রলারে থাকা যাত্রীদের দেহ উদ্ধার হয়। বুধবার সকালে তালপাটি ঘাটের কাছে দেহ উদ্ধার হয়। তালপাটি ঘাট থেকে উদ্ধার হয় খেজুরির কলাগাছিয়ার বাসিন্দা সঞ্জয় গিরির দেহ। দুপুরে ওই এলাকাতেই ভেসে ওঠে খেজুরির বারতলার বাসিন্দা জয়দেব করণের দেহ। প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার দুটি দেহ উদ্ধার হওয়ার ফলে ওই দুর্ঘটনায় মৃত ৮ জনের দেহ ও জীবিত চার জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের বিডিও শুভজিৎ জানা এ খবর দিয়ে জানিয়েছেন, শুক্রবারের ট্রলার ডুবির ঘটনায় ট্রলারে থাকা ১২ জন মৎসজীবীর চারজনকে জীবিত ও আট জনের দেহের হদিস মিলেছে। তিনি জানান, কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর আত্মীয়দের হাতে দেহগুলি তুলে দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবারের মর্মান্তিক এই ট্রলার দুর্ঘটনার পর ফের বুধবার ট্রলার ডুবির ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্ক ছড়ায়। তবে এদিনের দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রীরই ক্ষতি হয়নি। বার্জটি সঙ্গে থাকার জন্যই যে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন সবাই, তা একবাক্যে প্রত্যেকে স্বীকার করে নিচ্ছেন। সবচেয়ে বড় কথা ওই ট্রলারটি মূলত যাত্রীবাহী ছিল না। তাই সাধারণ যাত্রীরা সেখানে ছিলেন না। ফলে প্রাণহানির কোনও ঘটনা ঘটেনি। যারা ট্রলারে ছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই বার্জ ধরে নিজেদের রক্ষা করেছেন। যাত্রীসংখ্যা বেশি হলে, তা সম্ভব হত না।
আরও পড়ুন, আজই চিরবিদায় নিচ্ছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, নস্টালজিয়ায় ভাসল নেটদুনিয়া