সংক্ষিপ্ত

বুধবার ১৫ জুন সারা বিশ্ব থেকে চিরবিদায় নিচ্ছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার।  এদিকে এদিনের পর আর দেখা মিলবে না ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের, ঘোষণার পর নস্টালজিয়ায় ভাসল নেটদুনিয়া।

 

বুধবার ১৫ জুন সারা বিশ্ব থেকে চিরবিদায় নিচ্ছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। সম্প্রতি মাইক্রোসফট ঘোষণা করেছে যে, এটি ২৭ বছরের পুরোনো ব্রাউজারের জন্য প্লাগ টানছে। মূলত ১৯৯৫ সালে উইন্ডোজ ৯৫ এর জন্য অ্যাড অন প্যাকেজ হিসেবে প্রকাশিত হয়। পরে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারকে বাজারে বিনামূল্যে ছাড়া শুরু করে। এদিকে এদিনের পর আর দেখা মিলবে না ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের, ঘোষণার পর নস্টালজিয়ায় ভাসল নেটদুনিয়া।

ইন্টারনেটে প্রথম প্রবেশদ্বারগুলির মধ্যে অন্যতম  ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। স্বাভাবিকভাবেই কারো কারো পক্ষে এটি হজম করা খুব কঠিন যে আজই  ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারকে এরপরে আর দেখা যাবে না। কারণ ২০০০  সালের আশে পাশে খুব কমবাড়িতেই কম্পিউটার ছিল। যে যাও প্রথম বাড়িতে কম্পিউটার কিনে এনেছে, জেনেছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বর্হিবিশ্বকে জয় করার কথা। তবে যাদের মাধ্যমে সেই সময় ইন্টারনেটে প্রবেশ করা যেত সেই সময়ে, তার মধ্যে অবশ্যই অন্যতম ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। যেহেতু প্রথম দিকে  ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারকে বাজারে বিনামূল্যে ছাড়া শুরু করা হয়, তাই এর গ্রাহক সংখ্যাও দ্রুত বেগে বাড়তে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০০ সালের মধ্যে যাদের স্কুল লাইফ বা কর্মজীবনে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করার সুযোগ এসেছে, তাঁদের কাছে এদিন খুবই বিষাদের। স্বাভাবিকভাবেই নস্টালজিয়ায় ভেসেছে গোটা বিশ্ব। 

একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি পুরোনো ব্রাউজার ২০০৩ সালে প্রায় ৯৫ শতাংশ শেয়ার ব্যবহার করে শীর্ষে পৌঁছেছে। তবে বাজারে মোজিলা ফায়ারফক্স এবং গুগুল ক্রোমের মত অন্যান্য ব্রাউজারগুলি আসার সঙ্গে এটি অনেকটাই পিছিয়ে যায়। দুর্ভাগ্যবশন গোটা বিশ্ব যখন উচ্চ প্রযুক্তির সঙ্গে দ্রুত গতিতে অগ্রসর হয়েছে তথন ইন্টারনেট এক্সপ্লোলার সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেনি। কোম্পানির আগের প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের উপর কেবল মাইক্রোসফট এজ প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ সেটি আরও দ্রুত এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রযুক্তি দ্বারা চালিত। প্রসঙ্গত, ইন্টারনেট এক্সোপ্লোরারের গতি থেকে আরও দ্রুত গতি সম্পন্ন মোজিলা এবং ক্রোম এসে যাওয়ায় অনেকদিন ধরে ধুকছিল এটি। ব্যবহাররে প্রবণতা ক্রমশ কমে আসছিল। যদিও খুব সামান্য সংখ্যক মানুষ এটি ব্যবহার করছিল। কারণ কর্মজীবনে ব্রাউজার স্লো হয়ে যাওয়া মানে বিপুল টাকার আর্থিক লেনদেন ক্ষতি। আর সেই কারণেই গত কয়েকবছরের ক্রমশ সমুদ্র অতল গহ্বরে ডুবে যাচ্ছিল   ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। তবে এবার সব নস্টালজিয়া বাড়িয়ে দিয়ে এদিনই চির বিদায় নিচ্ছে  ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার।