এদিন যা ঘটল, তার নিন্দা করলেও কম হয়। তৃণমূল কাউন্সিলর হাতে মাইক নিয়ে অবলীলায় গেয়ে গেলেন ভুল জাতীয় সঙ্গীত।
এরপরেও কি তৃণমূলনেত্রী বলবেন একেবারেই ছোট্ট ঘটনা? বা বলবেন কী যে ছোটদের অমন ভুল হয়েই যায়? আর কতভাবে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করা হবে ? কারণ এদিন যা ঘটল, তার নিন্দা করলেও কম হয়। তৃণমূল কাউন্সিলর হাতে মাইক নিয়ে অবলীলায় গেয়ে গেলেন ভুল জাতীয় সঙ্গীত। আর গাওয়ার সময় একবারও তাঁর মনে হল না, যে ভুল গাইছেন তিনি? তিনি নাকি শিক্ষিকা? কোন শিক্ষায় শিক্ষিত তিনি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে কি খুব ভুল হবে? এতগুলো প্রশ্ন যাকে ঘিরে, তিনি অবশ্য ভুল জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বেপাত্তা। সেটাই স্বাভাবিক।
কি ঘটেছিল ঘটনাটা
মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পথে নেমেছিল তৃণমূল। মিছিল শেষে সভা করে তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই সভাতেই ঘটে যায় বিপত্তি। সভায় বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণও করেন তিনি। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু বিপত্তি হল সভার শেষে। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার সময় জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন জেলার নেতা-নেত্রীরা। মাইক ছিল সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর রিনা দাসের হাতে। আর তিনিই গেয়ে উঠলেন ভুল জাতীয় সঙ্গীত। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ভাইরাল।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের লাগামছাড়া পেট্রল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কাঁথি শহরে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি, প্রাক্তন সমবায় মন্ত্রী তথা অধ্যাপক জ্যোতির্ময় কর, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা কাঁথি পুরসভার উপ পুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি, কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তরুণ কুমার জানা সহ তৃণমূল নেতৃত্বরা।
অনুষ্ঠানের শেষে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘোষণা করার কথা জানান যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা অনুষ্ঠানের আয়োজক সুপ্রকাশ গিরি। মাইক হাতে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করেন কাঁথি পুরসভার কাউন্সিলর তথা চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল রিনা দাস। তিনি শুধু কাউন্সিলর নন তিনি একটি স্কুলের পার্শ্বশিক্ষিকাও! স্বভাবতই, শিক্ষিকা নিজেই ভুল জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ায় বিজেপি নেতৃত্বরা বিষয়টিকে নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। ভাইরাল ভিডিও নিয়ে ফেসবুকে শেয়ারের বন্যা বইয়ে দিয়েছে বিজেপি। যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে সেই কাউন্সিলরের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
জাতীয় সঙ্গীত তো ভারতীয়দের রক্তে। তা ভুল গাইলে মুখ লুকোনোর জায়গা পাওয়া কঠিন। তবে আপাতত কোন গর্তে সিঁধিয়েছেন সেই বাহাদুর তৃণমূল কাউন্সিলর, তা জানা যায়নি। মা মাটি মানুষের দলও মুখ খোলেনি এখনও। যদিও বলার বিশেষ কিছু অবকাশ রাখেননি ওই কাউন্সিলর।