দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল প্রায় ৫০ ঘন্টা। এদিকে এখনও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছেন সহ উপাচার্য- সহ অধিকাংশ অধ্যাপক। 'যাদবপুরে অনলাইনে পরীক্ষা হলে সরে দাঁডা়বেন সব অধ্যাপক' ঘেরাও হলেও এখন অনঢ় জুটা।
যাদবপুরে অনলাইনে পরীক্ষা হলে সরে দাঁডা়বেন সব অধ্যাপক। এমনটাই সিদ্ধান্ত জুটার। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল প্রায় ৫০ ঘন্টা। এদিকে এখনও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছেন সহ উপাচার্য- সহ অধিকাংশ অধ্যাপক। কিন্তু কথা হচ্ছে রাজ্যের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ার পরও কী কারণে অনলাইনে পরীক্ষা দিতে চাইছে ছাত্র-ছাত্রীদের দল।
কী কারণে অনলাইনে পরীক্ষা দিতে চাইছে ছাত্র-ছাত্রীদের দল
প্রসঙ্গত, রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ থেকে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়েছে। খুলেছে বাংলার তামাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কম্পালসারি ট্রেনিং এর জন্য অনেক পড়ুয়াই মেস ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছে, তাঁদের পক্ষে হোস্টেল না পেলে এখন অফলাইন পরীক্ষা দেওয়াটা সম্ভব নয়। অভিযোগ এই বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেও কোনও সমাধান মেলেনি। এদিকে যাদবপুরে অনলাইনে পরীক্ষা হলে সরে দাঁডা়বেন সব অধ্যাপক, সাফ জানিয়েছে জুটা। ঘটনা এর পরেই মোড় ঘুরেছে।
অসুস্থ হয়ে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বেরিয়ে গেলেও এখনও আটকে রয়েছেন সহ উপাচার্য
অফলাইন যাদবপুরের পরীক্ষা দিতে চাওয়ার দাবিতে অনড় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুায়াদের একাংশ। এরপর সোমবার দুপুর থেকে উপাচার্য এবং অধ্যাপকদের ঘেরাও করা হয়। মঙ্গলবারও অবস্থান থেকে নড়েনি পড়ুয়ার দল। অসুস্থ হয়ে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বেরিয়ে গেলেও এখনও আটকে রয়েছেন সহ উপাচার্য- সহ অধিকাংশ অধ্যাপক। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব স্টাডিস চায় পরীক্ষা হোক অফলাইনে। অপরদিকে ছাত্ররা চান অনলাইনে। এই দুই টানাপোড়ের মাঝেই জুটা বেনজির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। তবে অফলাইন পরীক্ষা যদি দিতে হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের হোস্টেল সমস্যা নিয়ে কী বলছে বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন, ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দূষিত শহর কলকাতা, চলুন কারণ জানতে ঘুরে দেখা যাক শহরের অলিগলি
সময়সীমা বাড়ালেও হোস্টেলের আবেদন জানিয়েছেন মাত্র ৯ জন
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, হোস্টেলে থাকার জন্য আবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশিকা চালু হলেও একজন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সহ আবেদন জানিয়েছেন মাত্র ৯ জন। সেই হোস্টেলে থাকার জন্য আবেদন করার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে ৬ এপ্রিল অবধি। অন্যদিকে পরীক্ষা প্রক্রিয়া নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যাদবপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন।
আরও পড়ুন, কলকাতায় প্রতিবছর ১ ফুট নিচে নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ জলস্তর, শিউরে ওঠা রিপোর্ট এল সমীক্ষায়
কে সরবে আগে নিজেদের অবস্থান থেকে ?
এখনও প্রশ্নটা হচ্ছে, হোস্টেলে থাকার জন্য আবেদন করার সময়সীমা ৬ এপ্রিল অবধি যখন বাড়ানো হয়েছে, তখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি ছাত্র-ছাত্রীরা আবেদন জমা করছে না কেন। কারণ সেক্ষেত্রে হোস্টেব ফাঁকা নেই, কী করে অফলাইন পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তথ্যের পরে বড় প্রশ্ন চিহ্ন তুলে ধরছে। আরও কতটা সময় এখনও ঘেরাও থাকবেন সহ উপাচার্য- সহ অধিকাংশ অধ্যাপক। আর ঘেরাও থাকলেই কি রাজি হবে, ছাত্রদের কথায়। কে সরবে আগে নিজেদের অবস্থান থেকে, উত্তর তোলা আছে সময়েই কাছেই।