
ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে কুণাল ঘোষের নামে চার্জশিট ত্রিপুরা পুলিশের। আত্মহত্যা মামলা থেকে বাঁচলেও এবার তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে সমন জারি করল ত্রিপুরার অমরাবতী জুডিশিয়াল ম্য়াজিস্ট্রেট আদালত। মূলত, ত্রিপুরায় প্রচারে গিয়ে সীতার সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য কুণাল ঘোষের নামে চার্জশিট পেশ করেছে ত্রিপুরা পুলিশ।
ত্রিপুরায় কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, জয় সীতারাম বা সিয়ারাম থেকে বিকৃত বা উদ্দেশ্যপ্রণেদিতভাবে সীতাকে বাদ দিয়ে শ্রীরাম করা হয়েছে। রাম-রাজ্যে অপমানিত হয়ে, সীতাকে প্রথম অন্তঃসত্তা অবস্থায় বনবাসে যেতে হয়েছিল। এরপর পাতাল প্রবেশের মধ্যে দিয়ে কার্যত আত্মহনন করেন তিনি। তারপরেই ত্রিপুরা পুলিশ ধর্মে আঘাত করার জন্য কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে। তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে ত্রিপুরার অমরাবতী জুডিশিয়াল ম্য়াজিস্ট্রেট আদালত। এমনকি ৩০ মে আদালতে হাজিরার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, জুয়ার নেশাতেই কি সর্বশান্ত হন অর্জুন ? নিহত বিজেপির যুব নেতার বন্ধুদের বয়ান নিল সিট
অপরদিকে, সদ্য গতকালই আত্মহত্যার মামলায় কুণালকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। যদিও কোনও শাস্তি দেয়নি কোর্ট। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে একটি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল কুণাল ঘোষকে। তাকে তখন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রাখা হয়। ২০১৪ সালে ১৩ নভেম্বর সংশোধনাগারের মধ্যে আচমকাই জেলের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কুণাল ঘোষ। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, কুণাল ঘোষ একসঙ্গে অনেকগুলি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। এরপরেই কুণাল ঘোষকে এসএসকেম-হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিধাননগরের এমএলএ এমপি আদালতে কুণাল ঘোষের আত্মহত্যার চেষ্টার মামলা বহু দিন ধরেই চলে। এই মামলায় জেলের রক্ষী থেকে কয়েদী, অনেকরই সাক্ষ নেওয়া হয়েছে। অনেক পুলিশ কর্তারও স্বাক্ষ নেওয়া হয়। যদিও কুণাল ঘোষের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তার পেটের ভিতর অনেকগুলি ঘুমের ওষুধ ছিল।
আরও পড়ুন, 'নেপথ্যে শুভেন্দু', ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় সিবিআই নোটিশ পেতেই বিস্ফোরক তৃণমূল
আরও পড়ুন, 'কলকাতা ৭১' বদলাল কি বাইশে ? মৃণাল সেনের জন্মদিনে ফিরে দেখুন পরিচালকের ফ্রেমটা
এমএলএ এমপি আদালতের বিচারক মনোজিৎ ভট্টাচার্য বলেছেন, আত্মহত্যার চেষ্টা হয়েছিল কিন্তু শাস্তি দেব না। শুধু ওকে বলব, এই সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না। আপনি যে লড়াই করেছেন , করুন। যত অবসাদই আসুক, আত্মহত্যায় সমস্যার সমাধান হয়না। এই মামলার রায় দানের পর বিচারক আরো বলেন, আপনি বিশিষ্ট সাংবাদিক। প্রতিষ্ঠিত ঘরের সন্তান। আপনার থেকে সমাজ অনেক কিছু আশা করে। আপনি মামলা আইনে লড়ুন। কাজ চালিয়ে যান।'