সংক্ষিপ্ত

ভোট পরবর্তী হিংসা পর মামলায় নতুন করে নাম জড়াল নন্দীগ্রামের তৃণমূলের নেতাদের। মামলায় নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতাদের নোটিশ পাঠাল সিবিআই।

ভোট পরবর্তী হিংসা পর মামলায় নতুন করে নাম জড়াল নন্দীগ্রামের তৃণমূলের নেতাদের। ভোট পরবর্তী হিংসার পর মামলায় নাম জড়িয়েছে ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি এবং ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নেতা আবু তাহের, শেখ খুশনবিস-সহ একাধিক তৃণমূল নের্তৃত্ব। যা নিয়ে চাপান উতোর তৈরি হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। অস্বস্তি বেড়েছে শাসক শিবিরও। যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে, যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আবু তাহের। তাঁর দাবি, চিল্লগ্রামে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি হত্যা মামলা সহ একাধিক মিথ্যা ঘটনার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের নাম। এই কাজের জন্য বিজেপির দিকে আঙুল দেখিয়েছেন তিনি। নেপথ্যে রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  

প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা  ভোটে এই নন্দীগ্রামই নজর ছিল, বাংলার পাশাপাশি গোটা রাজনৈতিক মহলের। যে নন্দীগ্রামের কাঁধে ভর করে ২০১১ সালে রাজ্য পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল, সেখানেই তৃণমূল ত্যাগী শুভেন্দুর সঙ্গে জোর টক্কর দেখা যায় মমতার।এদিকে বিধানসভা ভোট বড় ব্যবধানে তৃণমূল জিতলেও অস্বস্তি বাড়াতে শুরু করে ভোট পরবর্তী হিংসা। রাজ্যের একাধিক প্রান্তে ধরে ধরে বিরোধী শিবিরের নেতা কর্মীদের, নিশানা করার অভিযোগ জড়িয়ে যাওয়ায়, তা নিয়ে তীব্র চাপানউতোর তৈরি করেছ প্রশাসনিক মহলে। এবার সেই মামলায় নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতাদের নোটিশ পাঠাল সিবিআই।

আরও পড়ুন, বৃষ্টির জমা জলে ডেঙ্গুর আশঙ্কা, কতটা সতর্ক কলকাতা পুরসভা ? কী নির্দেশ মমতার

যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল নেতা  আবু তাহের বলেছেন, শুভেন্দু একাধিক রাজনৈতিক সভায় গিয়ে বলেছেন, ১০০ জনের তালিকা তৈরি করেছেন।ঠিক তারপরেই দেখা যাচ্ছে , সিবিআই নোটিশ পাঠাচ্ছে। এই সব করে তৃণমূলের উন্নয়নকে আটকানো যাবে না। এই নোটিশের জবাব আইনি পথেই দেব। দলের সঙ্গে আলোচনা করছি। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে নন্দীগ্রাম বিধায়কের চেষ্টায় মাঠ ফাঁকা করতে চাইছেন শুভেন্দু। উনি একজন স্বার্থপর, প্রতিহিংসা পরায়ন লোক। যে সব ঘটনা সম্পর্কে আমি বা আমরা জানিনা, সেই মামলায় আমাদেকর নাম দিয়েছে। তৃণমূলের বহুকর্মী আজ অকারণে জেল খাটছে। তাঁদের আটকানো হচ্ছে প্রভাবশালী বলে। যারা দিন আনে দিন খায়, তাঁদের প্রভাব থাকবে কীকরে।

আরও পড়ুন, রাতের বৃষ্টিতে ফিরল স্বস্তি, আজও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বর্ষণ বঙ্গে

 ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। এই মামলায় প্রথম থেকেই পুলিশি নিষ্কৃয়তার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে একাধিক পিটিশন জমা পড়ে হাইকোর্টে। প্রসঙ্গত ভোটের পর সারা বাংলা জুড়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে বিজেপি। নন্দীগ্রাম সহ একাধিক এলাকার কার্যালয়, বাড়ি ঘর, পরিবারের উপর হামলা, কার্যকর্তা, নেতা খুনের ঘটনা ঘটে। রাজ্যে এরপর পরিদর্শনে আসে জাতীয় মানবধিকার কমিশন।  হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য়ের হিংসা বিধ্বস্ত জায়গায় ঘুরে রিপোর্ট তৈরি করে জাতীয় মানবধিকার কমিশন। এদিকে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয় কমিশনের সদস্যরা। শুনানির সময় এই বিষয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এখানেই শেষ নয় জল গড়ায় অনেক দূর। আর এবার ফের  ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় কাঠগড়ায় সেই তৃণমূল।
আরও পড়ুন, 'কলকাতা ৭১' বদলাল কি বাইশে ? মৃণাল সেনের জন্মদিনে ফিরে দেখুন পরিচালকের ফ্রেমটা