মাধ্যমিকে প্রান্ত নম্বরও সমান-সমান, যমজ বোনের কীর্তিতে হতবাক পাড়া-প্রতিবেশীরা

  • পরীক্ষার সিট পড়েছিল একই স্কুলে
  • দু'জন অবশ্য পরীক্ষা দিয়েছে আলাদা ঘরে
  • মাধ্যমিক একই নম্বর পেল দুই যমজ বোন
  • ঘটনায় হতবাক পাড়া-প্রতিবেশীরা
     

Asianet News Bangla | Published : Jul 16, 2020 10:55 AM IST

দ্বৈপায়ন লালা, মালদহ: সম্পর্কে যমজ বোন। একই পরীক্ষাকেন্দ্রে একজন দোতলার, আর একজন একতলার ঘরে বসে পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরে কোনও হেরফের ঘটল না! ৫৩৮ নম্বর পেয়েছে দু'জনেই। মেয়েদের রেজাল্ট দেখে হতবাক বাবা-মা। তাজ্জব বনে গিয়েছেন পাড়া-প্রতিবেশীরাও। 

আরও পড়ুন: ফল প্রকাশের আগে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, বাড়িতে মিলল ঝুলন্ত দেহ

মালদহ শহরের সিঙ্গাতলা এলাকায় থাকেন প্রণব ঘোষদস্তিদার। পেশায় তিনি সরকারি কর্মচারী। প্রধান করণিক পদে চাকরি করেন মালদহ উইমেন্স কলেজে। দুই যমজ মেয়ে প্রাপ্তি ও প্রাচী মালদহ গার্লস স্কুলের ছাত্রী। দুই বোন এবার একসঙ্গে বসেছিল মাধ্যমিক পরীক্ষায়। তাদের পরীক্ষার সিট পড়েছিল শহরের বাঁশবাড়ি এলাকার কৃষ্ণমোহন বালিকা বিদ্যালয়ে। তবে রোল নম্বরে হেরফের কারণে আলাদা ঘরে বসে পরীক্ষা দিয়েছে প্রাপ্তি ও প্রাচী। 

আরও পড়ুন: 'রেশন নিয়ে কেউ আন্দোলন করলে হাত-পা ভেঙে দিন', নয়া নিদানে ফের বিতর্কে অনুব্রত মণ্ডল

করোনা আতঙ্কের মাঝে বুধবার মাধ্যমিক পরীক্ষা ফল ঘোষণা করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রশাসক কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। দুপুরে  ইন্টারনেটে রেজাল্ট দেখতে গিয়ে জানা যায়, মাধ্যমিকে দুই যমজ বোনের প্রাপ্ত নম্বরও সমান সমান! সবচেয়ে মজার কথা, তাদের বিষয়ভিত্তিক নম্বরে কিন্তু ফারাক আছে। তবে সেই নম্বরগুলির যোগফল একই, ৫৩৮। পরীক্ষার ফলে বেজায় খুশি প্রাপ্তি ও প্রাচী। তাঁদের সাফ কথা,  এক অপরের সঙ্গে মনের মিলের কারণে এমনটা হয়েছে।

কী বলছেন যমজ মেয়ের বাবা-মা? বাবা প্রণব ঘোষদস্তিদারের প্রার্থনা, 'ওরা চিরকাল যেন এভাবে মিলেমিশে থাকতে পারে।' আর মা অর্চনা ঘোষদস্তিদার বলছেন, আমার দুই মেয়ে পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে। যমজ নম্বরেও আমরা খুব খুশি।'

Share this article
click me!