নেপথ্যে পরকীয়া, বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় মা-মেয়েকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন

 

  • বিবাহিত যুবকের সঙ্গে প্রেম
  • বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় খুন তরুণী
  • রেহাই পেলেন না তাঁর মা
  • হলদিয়াকাণ্ডের রহস্যভেদ পুলিশের
     

অল্পদিনেই প্রেম জমে উঠেছিল। কিন্তু প্রেমিক যে বিবাহিত, তা বুঝতে পারেননি তিনি। বিয়ের জন্য চাপ দিতে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন হয়ে গেলেন এক তরুণী। রেহাই পেলেন না তাঁর মা-ও। পাঁচদিন পর হলদিয়াকাণ্ডের রহস্যভেদ করল পুলিশ। ধরা পড়েছে মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম ও তার এক শাগরেদ।

আরও পড়ুন: সিএএ-র সমর্থনে প্রচারের 'মাশুল', বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে 'কুপিয়ে খুন'

Latest Videos

ঘটনার সূত্রপাত্র মঙ্গলবার। ভোরে হলদিয়ার দুর্গাচকের ঝিকুরখালি এলাকায় প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, হলদি নদীর চরে আগুন জ্বলছে! কী ব্যাপার? নদীর চরে গিয়ে দেখা যায়, আগুন লাগানো হয়েছে দুটি মৃতদেহে। তখনও আগুন জ্বলছিল। আর দেরি না করে থানায় খবর দেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু দেহ দুটি এতটাই পুড়ে  গিয়েছিল, যে মৃতদের পরিচয় জানতে গিয়ে পুলিশকে রীতিমতো বেগ পেতে হয়। শেষপর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নেন তদন্তকারীরা। আর তাতেই মেলে সাফল্য। পরিচয় তো বটেই, জানা যায় মৃতদের ফোন নম্বরও। সূত্রের খবর, হলদি নদীর চর থেকে উত্তর চব্বিশ পরগনা নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা রিয়া দে ও তাঁর মা রমা দে-র মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। 

আরও পড়ুন: যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে 'খুন', চাঞ্চল্য হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়

কিন্তু মা ও মেয়েকে কারা খুন করল? কেনই বা তাঁদের খুন করা হল? মৃতদের ফোনের কললিস্ট খতিয়ে দেখে সাদ্দাম নামে এক যুবকের হদিশ পায় পুলিশ। আটক করা হয় তাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি মেসেজ পার্লার কাজ করার সুবাদে রিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় সাদ্দামের। নিজের পরিচয় লুকিয়ে রিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে ওই বিবাহিত যুবক।  দীর্ঘদিন ধরে অবাধে চলে মেলামেশা। এরপরই হঠাৎ-ই সাদ্দামকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন রিয়া ও তাঁর মা রমা। কিন্তু অন্য একজনকে যে সে আগেই বিয়ে করে ফেলেছে! রেহাই পেতে প্রেমিকা ও তাঁর মা-কে খুনের ছক কষে সাদ্দাম। গত ১৭ ফ্রেরুয়ারি রিয়া ও রমা-কে হলদিয়ায় ডেকে পাঠায় সাদ্দাম। দুর্গাচকের একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দু'জন মাদক খাওয়ানো হয়। এরপর জীবন্ত অবস্থায় নদীর চরে নিয়ে গিয়ে তাঁদের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় সাদ্দাম। 

 

জানা গিয়েছে, পুলিশের জেরায় অপরাধ স্বীকার করেছে সাদ্দাম। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শেখ মনজুন নামে আরও একজন গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  দু'জনেরই বাড়ি হলদিয়ায়।  ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। বাকী দুই অভিযুক্ত এখনও পলাতক।

Share this article
click me!

Latest Videos

Suvendu Adhikari: 'পুলিশ গরু প্রতি ২০০০ টাকা তোলা তোলে' বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর
Live: সাংবাদিক সম্মেলনে শমীক ভট্টাচার্য, কী বললেন তিনি, দেখুন সরাসরি
অসাধ্য সাধন! যথেষ্ট পরিকাঠামো না থাকার সত্ত্বেও ৮০০ গ্রামের শিশুকে বড় করে তুলল বারাসাত মেডিক্যাল
এবার ট্যাব কেলেঙ্কারির শিকার হলো গঙ্গাসাগরের স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা! চাঞ্চল্য ছড়ালো গোটা এলাকায়
‘ওপারে ইউনূস এপারে মমতা দুজনেই এক’ মমতাকে তোপ শুভেন্দুর, দেখুন কী বললেন | Suvendu Adhikari