আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: বিধানসভা ভোটের আগে ভাবমূর্তিতে আঘাত লাগবে না তো? দলের দুই প্রাক্তন সম্পাদককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে বিতর্ক তুঙ্গে গেরুয়াশিবিরের অন্দরে। বীরভূমে অস্বস্তি বাড়ল বিজেপি-এর।
আরও পড়ুন: নাবালকের ট্র্য়াক্টর উল্টে মৃত্যু মহিলার, 'বেফাঁস' মন্তব্য় করায় গণপ্রহার বিজেপি নেতাকে
একাধিক বার খুনের চেষ্টা করা হয়েছে তাঁকে। স্রেফ প্রাক্তন জেলা সম্পাদকই নন, বীরভূমে বিজেপি-এর অন্যতম লড়াকু নেতা হিসেবে পরিচিত কালোসোনা মণ্ডল। পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে জেলাশাসকের দপ্তরে ডেপুটেশন দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন তিনি। পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র গিয়ে শরীরে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। সেই কালোসোনা মণ্ডলকে তিন বছর ও আর প্রাক্তন জেলা সম্পাদক দেবাশিষ মিত্র ওরফে পলাশকে চার বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করে দিল বিজেপি নেতৃত্ব।
কেন? বীরভূমের বিজেপি জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই নেতা দল বিরোধী কার্যকলাপ করছিলেন। আমরা সমস্ত প্রমাণ হাত পেয়ে তাদের বহিষ্কার করেছি।' নাম না করে জেলা সভাপতিকে একহাত নিয়েছেন সদ্য বহিষ্কৃত নেতা কালোসোনা মণ্ডল। তিনি বলেন, 'যাঁকে দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্য জেলায় পাঠানো হল, তিনিই দলটাকে টুকরো টুকরো করছেন। এতে তৃণমূল লাভবান হবে। তবে বিজেপি ছাড়ব না।' আর এক বহিষ্কৃত নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
আরও পড়ুন: কলকাতায় বৃষ্টির পূর্বাভাস, উত্তরবঙ্গে প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কায় সর্তকতা জারি
উল্লেখ্য, বীরভূমে বিজেপিতে গোষ্ঠীকোন্দল নতুন নয়। রামকৃষ্ণ রায় যখন জেলা সভাপতি, তখন গোষ্ঠীকোন্দল মেটানোর জন্য শ্যামাপদ মণ্ডলকে জেলায় পাঠান বিজেপি-এর রাজ্য় নেতৃত্ব। এখন তিনিই দলের জেলা সভাপতি। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের একাংশের অভিযোগ, দায়িত্ব পেয়েই পুরানো কর্মীদের ছেঁটে ফেলে নতুনদের নিয়ে মণ্ডল কমিটি গঠন করেছেন শ্যামাপদ। অনেক অযোগ্য ব্যক্তি পদ পেয়ে গিয়েছে। ফলে বিভিন্ন জায়গায় পুরানো নেতারা নিজেদের মতো করে আলাদা সভা-সমিতি করছেন। কালোসোনা মণ্ডলদের বহিষ্কার করে বাকিদেরও বার্তা দিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি।