কোভিডে নয়, কাজের অভাবে পড়শী রাজ্যে গিয়ে ম্য়ানহোলে আটকে ২ পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু

  • মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ এ চারিদিকে হাহাকার 
  •  কাজের অভাবে  ছুটে বেড়াচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা 
  •  কাজের খোঁজে গিয়েই আর ফিরল না ২ জন শ্রমিক 
  • ম্যানহোলে 'অক্সিজেন'-র অভাবে আটকে পড়ে মৃত্যু 

Asianet News Bangla | Published : Jun 3, 2021 5:37 AM IST


মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ এ চারিদিকে হাহাকার। কাজের অভাবে হন্যে হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। আর সেই কাজের খোঁজে মুর্শিদাবাদ সীমান্তের পড়শী রাজ্য বিহারের পাটনায়  গিয়ে  জোড়া মৃত্যু হল দুই পরিযায়ী শ্রমিকের। 

আরও পড়ুন, 'BJP করার শাস্তি', মালদায় আক্রান্ত পুরো পরিবার, দত্তপুকুরে লোহার রডের আঘাতে ফাটানো হল মাথা 

জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম ইকবাল শেখ( ২০)ও ইদ্রিশ আলী (১৯) ।মৃত ইকবালের  বাড়ি মুর্শিদাবাদের জালিবাগিচা এলাকায় ও ইদ্রিশের বাড়ি রানীতলা থানার চাঁদপুর গ্রামে । বৃহস্পতিবার সকাল গড়াতেই এই খবর তাদের মুর্শিদাবাদের গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছাতেই দুই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে । মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে , লকডাউন চলাকালীন সপ্তাহ খানেক আগে  কাজের সন্ধ্যানে ঐ দুই হতভাগ্য পরিযায়ী শ্রমিক তাদের গ্রামের বাসিন্দা নয়ন শেখ নামের এক ঠিকাদারে সঙ্গে  পাটনা রওনা দেয়  । ওই সব পরিযায়ী শ্রমিকদের বিভিন্ন কাজে লাগান হয় ।সূত্রের খবর   ইকবাল ও ইদ্রিস কে দেউড় থানার জেল খানার মোড় এলাকায় পাইপ লাইনের কাজ দেওয়া হয় । সেই মোতাবেক এদিন ওই দুই যুবক কে ম্যানহোল পরিষ্কার করার জন্য নামান হয় । অভিযোগ, ম্যানহোলের কাজে অপটু দুই শ্রমিক  নিচে নামার পর কোনও রকম সাড়া না দিলে তাদের সঙ্গে থাকা অন্যন্য শ্রমিকদের সন্দেহ হয় ।ফলে তারা হাঁক ডাক শুরু করে দেয় । ওই ডাকে সাড়া  না দিলে তারা ঠিকাদার কে খোঁজ দেন । পরবর্তীতে ঠিকাদার নয়ন শেখ  ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় জেসিবি নিয়ে এসে ম্যানহোল ভেঙে ওই দুই যুবক কে উদ্ধার করে পাটনা শহরের টি এন সি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

আরও পড়ুন, 'মেলেনি সাড়া', মুর্শিদাবাদে অক্সিজেন প্লান্টের আর্জিতে অধীরের 'পত্রবাণ'-র নিশানায় মমতা  


এদিকে স্থানীয় দেউড় থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টি এন সি হাসপাতালের  মর্গে পাঠায় । মৃত  ইদ্রিশের দাদা  নাইরুল সেখ একই ঠিকাদারের আন্ডারে পাটনা শহরে কাজ  করছিলেন । ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে সে ঘটনা  স্থলে পৌছায় ।তিনি বলেন , 'ম্যানহোলে অক্সিজেনের জোগান না পেয়েই ওই দুজনের মৃত্যু হয়েছে । ঠিকাদারের উচিৎ ছিল সব ব্যবস্থা পাকা করে ওদের ম্যানহোলে নামানো।' এই ব্যাপারে থানায় কোনও অভিযোগ করবেন কিনা জানাতে চাওয়া হলে নাইরুল কিছু বলতে চান নি । কিন্তু ইকবালের বাবা সামাউন সেখ বলেন, ' দেহ বাড়িতে এসে পৌঁছাক তারপর সমস্ত কিছু জানার পর সিদ্ধান্ত নেব।'

Share this article
click me!