সংক্ষিপ্ত
- মালদায় আক্রান্ত বিজেপির সংখ্যা লুঘু কর্মীর পরিবার
- অভিযোগের তীর এবারেও তৃণমূলের দিকেই
- বিজেপির হয়ে কাজ করাতেই এই হামলা চালানো হয়েছে
- শুধু মালদাতেই নয় উত্তর ২৪ পরগণাতেও উঠেছে অভিযোগ
মালদায় আক্রান্ত বিজেপির সংখ্যা লঘু কর্মীর পরিবারের অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকেই। ওই বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর পরিবার বিজেপির হয়ে কাজ করাতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। তবে শুধু মালদাতেই নয় উত্তর ২৪ পরগণাতেও উঠেছে অভিযোগ।
আরও পড়ুন, 'শুভেন্দুর মত অত খারাপ না মুকুল' পুরোনো বাণীই কি টানছে, 'কৃতজ্ঞতা'য় মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু
জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ওই বিজেপি কর্মীর নাম কাওসার আলি। বৃহস্পতিবার ভোরে পরিবাররের সঙ্গে ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, তখনই তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়েছে। গুরুতর আহত কাওসার আর দুই ভাই-বোন-স্ত্রী।ঘটনায় গুরুতর আহত কাওসার আলীর দুই ভাই, স্ত্রী ও বোনকে প্রথমে স্থানীয় রতুয়া হাসপাতাল এবং পরে মালদা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আহতরা হলেন, মজাহারুল হক, এমাদুর রহমান, শাহনাজ পারভীন এবং আয়েশা খাতুন। কাওসার আলী জানান, গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির বুথ এজেন্ট হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন, 'মেলেনি সাড়া', মুর্শিদাবাদে অক্সিজেন প্লান্টের আর্জিতে অধীরের 'পত্রবাণ'-র নিশানায় মমতা
তার পরিবারের সমস্ত সদস্য নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কাজ করেছিল। তখন থেকেই তাঁর ও তাঁর পরিবারের উপর বিভিন্ন রকম ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এদিন ভোরে তিনি যখন তার পরিবারের সঙ্গে জমি থেকে ফিরছিলেন, তখনই তাদের উপর এই হামলা এবং বোমাবাজির ঘটনা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী শামসুল হকের নেতৃত্বে এই হামলা এবং বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। যদিও এই ঘটনায় তৃণমূলের যোগ থাকার কথা অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই হামলা। এই পুরো ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রতুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে কাউসার আলীর পরিবারের তরফে।
আরও পড়ুন, কোভিডে নয়, কাজের অভাবে পড়শী রাজ্যে গিয়ে ম্য়ানহোলে আটকে ২ পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু
অপরদিকে, সোমবার রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ তৃণমূলের কয়েকজন দাপুটে নেতা সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে দত্তপুকুরের গঙ্গাপুরের বাসিন্দা ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী সুশান্ত সরদারের বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, এলাকার তৃণমূলের দাপুটে নেতা গোপাল কাঞ্জিলাল, মেঘনাথ দাস, সুমন্ত সিং, হাসেম আলী সহ তৃণমূলের লোকজন বিজেপি কর্মী সুশান্ত সরদারের বাড়িতে চড়াও হয়ে হামলা চালায়। লোহার রড, চপার, হকি স্টিক দিয়ে বিজেপি কর্মীকে মারধর করে। শরীরে একাধিক জায়গায় ক্ষত ও মাথায় গুরুতর চোট নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বারাসাত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই বিজেপি কর্মীকে। মাথায় ৩১ টি সেলাই ও দুই হাতের কনুইয়ের অংশ ভেঙে যায় বলে অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন, 'আলাপন অধ্য়ায় শেষ এবার', নবান্নে বার্তা মমতার
বুধবার সকালে ব্যারাকপুর বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন সান্যাল ও বিজেপি কর্মীরা বারাসাত হাসপাতালে আসেন এবং আহত বিজেপি কর্মী সুশান্ত সরদারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার কথা জানান। ব্যারাকপুর বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন সান্যালের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মী সুশান্ত সরদারের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে। মানুষকে ভীতসন্ত্রস্ত করে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে শাসকদল। আহত সুশান্ত সরদারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আজ ওনাকে চিকিৎসার জন্য অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে। পাশাপাশি আজ ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে বারাসাত জেলা পুলিশের কাছে অভিযুক্তদের নাম সহকারে অভিযোগ জানানো হবে, যদি এরপরেও পুলিশ কোনো সদুত্তর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে তার প্রতিবাদ জানাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।