রপ্ত করে ফেলেছেন আদিবাসীদের ভাষা, করোনা যুদ্ধে দুই শিক্ষকই ভরসা প্রশাসনের

Published : Apr 15, 2020, 06:24 PM ISTUpdated : Apr 16, 2020, 08:35 PM IST
রপ্ত করে ফেলেছেন আদিবাসীদের ভাষা, করোনা যুদ্ধে দুই শিক্ষকই ভরসা প্রশাসনের

সংক্ষিপ্ত

বেড়ে উঠেছেন আদিবাসী পরিমণ্ডলে আলাদাভাবে আর শেখার দরকার পড়েনি সাঁওতালি ভাষা রপ্ত হয়ে গিয়েছে দুই শিক্ষকের করোনা যুদ্ধে প্রশাসনকে ভরসা দিচ্ছেন তাঁরা

আলাদাভাবে আর শেখার দরকার পড়েনি। আদিবাসীদের সঙ্গে মেলামেশার সুবাদেই রপ্ত করে ফেলেছেন সাঁওতালি ভাষা বা অলচিকি লিপি। বীরভূমে করোনা যুদ্ধে প্রশাসনকে ভরসা যোগাচ্ছেন দুই শিক্ষক। 

আরও পড়ুন: অত্যাধুনিক স্যানিটাইজার মেশিনে জীবাণুমুক্ত হবে শরীর, নয়া আবিষ্কার রায়গঞ্জের যুবকের

একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক, আর এক সহকারী শিক্ষক। বীরভূমের নলহাটির লক্ষ্মীনারায়ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ান আশিস মাল ও আইনূল হক। থাকেন স্থানীয় হরিদাসপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। আশিসের বাড়ি বিলডাঙা গ্রামে, আর আইনূল ধাবুনিগ্রামের বাসিন্দা। বাড়ি থেকে ঝাড়খণ্ডের দূরত্ব মেরেকেটে ছ'শো মিটার। গ্রামের চারিদিকে আদিবাসীদের বাস। সাঁওতালি ভাষা তো বটেই, তাঁদের সংস্কৃতি অজানা নয় প্রাথমিক স্কুলের দুই শিক্ষকের।  লক্ষ্মীনারায়ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশিস মাল বলেন, 'আমার স্ত্রী স্বাস্থ্যকর্মী। লকডাউন জারি হওয়ার পরের দিন স্ত্রীকে ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া আদিবাসীদের গ্রামে রাখতে গিয়েছিলাম। দেখলাম, স্থানীয় বাসিন্দারা সামাজিক দূরত্ব না মেনে গা ঘেষাঘেষি করে রেশন তুলছে!' এরপর আর চুপ করে বসে থাকতে পারেননি তিনি। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, সহকর্মী আইনূল হককে নিয়ে আদিবাসী গ্রামগুলিতে সচেতনতার প্রচার চালাবেন। বিডিও ও পুলিশের কাছ অনুমতিও মেলে সহজেই।  করোনা যুদ্ধে আর এক সৈনিক আইনূল হক বলেন, 'আদিবাসী পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠার সুবাদে ওদের ভাষা রপ্ত হয়ে গিয়েছে। আশিসবাবু যখন আদিবাসীদের গ্রামে প্রচার চালানোর প্রস্তাব দেন, তখন রাজি হয়ে যাই। সকাল-বিকেল ঘুরে প্রচার চালাচ্ছি।' 



আরও পড়ুন: নববর্ষের উপহারের মূল্য করোনা ত্রাণে, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখল ন'বছরের ত্রিজিতা

আরও পড়ুন: করোনা উপসর্গের মৃতদেহের সৎকার ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁকুড়ায়, পুলিশের ব্য়াপক লাঠিচার্জ

জানা গিয়েছে, নলহাটির হরিদাসপুর পঞ্চায়েতের আলমপুর, ভেড়াপাড়া, জামসুল, দাদুপাড়া-সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্রচার চালিয়েছে ওই দুই শিক্ষক। আদিবাসীরাও যে সচেতন হয়েছেন, সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন  নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের বিডিও জগন্নাথ বাড়ুই।  তিনি বলেন, 'ওই দুই শিক্ষক খুবই ভালো কাজ করছেন। এলাকায় গিয়ে আমার দেখেছি, আদিবাসীরাও সচেতন হয়েছেন।'

PREV
click me!

Recommended Stories

মমতার পথশ্রী প্রকল্পকে ঢপের চপ আখ্যা শুভেন্দুর, দেখুন কেন এমন বলছেন?
বঙ্গে ডিটেনশন ক্যাম্পের প্রয়োজন নেই, মমতার মন্তব্যের পাল্টা জবাব শুভেন্দু অধিকারীর