পাচার আটাকল বিএসএফ। দুই যুবতীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বসিরহাট মহাকুমার স্বরূপনগর থানার ভারত-বাংলাদেশ হাকিমপুর সীমান্তে ঘটেছে এই ঘটনা।
করোনা পরবর্তী সময়ে গোটা দেশে অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি নারী পাচারের পরিমাণ বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে। দেশের অন্যান্য সীমান্তবর্তী রাজ্যের পাশাপাশি বাংলাতেও বেড়েছে নারী পাচারের ঘটনা। সবথেকে বেশি এই ধরণের ঘটনা দেখা গিয়েছে বাংলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে। তবে উল্টো ঘটনাও প্রচুর ঘটেছে। অনেক বাংলাদেশী যুবতীকেই গত কয়েক মাসে পাচার করা হয়েছে এবার বাংলায়। যা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে শেখ হাসিনা প্রশাসনও। সেখানে পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে গত কয়েকমাসে অনেকটাই সক্রিয় হয়েছে বিএসএফ। এবার সেই বিএসএফ-র হাত ধরেই এল সাফল্য। সম্প্রতি দুই যুবতীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বসিরহাট মহাকুমার স্বরূপনগর থানার ভারত-বাংলাদেশ হাকিমপুর সীমান্তে ঘটনা।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিটের ইন্সপেক্টর আদিত্য নারায়ন কাজে খবর যায় ঘটনা সম্পর্কে। গোপন সূত্রে পাওয়া সেই খবরে তিনি জানতে লপারেন বাংলাদেশ থেকে এদেশে দুই যুবতী সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকছে। সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার ওই দুই যুবতীকে মোটা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশি এক দালাল ভারতীয় সীমান্তে ঢুকেয় তামিলনাড়ুতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বলেও জানা যায়। শুক্রবার এই দুই যুবতী বাংলাদেশের পরিচয়পত্র নিয়ে সীমান্তে প্রবেশ করলে ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের সন্দেহ হয়। তখনই তাদের পাকড়াও করা হয়। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তখনই সামনে আসে আসল রহস্য।
আরও পড়ুন- যোগী ঝড়ে ধরাশায়ী অখিলেশ-মায়াবতী, উত্তরপ্রদেশে সর্ব বৃহৎ দল হিসাবে ফের আত্মপ্রকাশ বিজেপির
দুই যুবতীর মধ্যে একজনের বয়স ২১, অন্য একজনের বয়স ৩৩। তারা বাংলাদেশের পরিচয় পত্র দেখালেও এদেশে ঢোকার জন্য বৈধ উপযুক্ত নথি পত্র দেখাতে পারেনি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায় বাংলাদেশী এক দালাল ভারতে ঢুকে এদেরকে তামিলনাড়ু পাচারের চেষ্টা করেছিল। এই খবর জানতে পেরে ১১২, নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার চন্দ্র শেখর উদ্যোগে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার কাকডাঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তে বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। শুক্রবার রাত্রিবেলা দুই দেশের সীমান্তের আধিকারিকদের মধ্যে একটি ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। তারপর দুই যুবতীকে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানেরা। তদন্তকারীদের বিস্তারিত তাদের নাম-ঠিকানা পরিচয় পত্র এমনকি বাংলাদেশের দালালের নাম জানায়। তবে এই ঘটনার পর থেকেই দালাল পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। এই ঘটনায় স্বভাবতই উত্তেজনা ছড়িয়েছে স্বরূপনগরের সীমান্তবর্তী এলাকায়।