সংক্ষিপ্ত

এবারের ভোটে উত্তরপ্রদেশে যোগীই ছিলেন বিজেপি-র মুখ, মোদী নন। সেটা  অনেক আগেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল।

৪০৩ আসনে এসেছে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা। যোগীর কাঁধে ভর করেই পের উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে দেশের রাজনৈতিক মহলে। এদিকে রামমন্দির হোক বা লখিমপুর, বা হালের কৃষক আন্দোলন, সাম্প্রদায়িকতা হোক বা রাজ্য শাসনের নীতি প্রতি ক্ষেত্রেই গত কয়েক বছরে বারেবারেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু তারপরেও তার বিজয়রথ ঠেকাবে কে! এদিকে বিজেপি-র হিন্দুত্ববাদের পোস্টার বয় যে যোগীই, তা যেন আবারও প্রমাণ হয়ে গেল উত্তরপ্রদেশের ফলাফল থেকে। এদিকে শুধু জয় নয়, যোগী হাত ধরেই এবারে তৈরি হয়ে গিয়েছে একাধিক নতুন রেকর্ড। এদিকে স্বাধীনতা পরবর্তী ৭০ বছরে উত্তরপ্রদেশে যোগীই প্রথম এমন মুখ্যমন্ত্রী যিনি তাঁর প্রথম পর্বের কাজের মেয়াদ শেষ করে ফের দ্বিতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন।
গত ৭০ বছরের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে ২১ জন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তবে ৭০ বছরে পর পর ২ বার এভাবে মুখ্যমন্ত্রিত্বের আসনে কেউই থাকতে পারেননি। এদিকে এবারের ভোটে উত্তরপ্রদেশে যোগীই ছিলেন বিজেপি-র মুখ, মোদী নন। সেটা  অনেক আগেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। তাকে সামনে রেখেই লড়াইয়ের ময়দানে নামে গেরুয়া শিবির। আর অনিবার্যভাবে যোগী প্রচারপর্বে হিন্দুত্বের প্রসঙ্গ তুলেছেন। বিভাজনের চেষ্টা করেছেন বলেও সাফ দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একটা বড় অংশের। মন্দির-মসজিদ প্রসঙ্গ তুলেছেন। ফের উত্তরপ্রদেশের মাটিতে নতুন করে শক্ত হয়েছে সাম্প্রদায়িকতার ভীত। ৮০ শতাংশ হিন্দু ও ২০ শতাংশ মুসলিমকে বিভাজনের কাহিনিও ছড়িয়েছেন প্রচার পর্বেই। তিনি বারবার অযোধ্যায় রামমন্দির, মথুরায় কৃষ্ণজন্মভূমি ও কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের করিডোরকে প্রচারে সামনে এনেছেন। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এমনকী যোগীর একাধিক বক্তব্য নিয়ে সরবও হয়েছে বিরোধীরা। 

আরও পড়ুন- ‘নিজেদের সীমারেখা বুঝুন’, নজরুল মঞ্চ থেকেই ফের সংবাদমাধ্যকে হুঁশিয়ারি মমতার

আরও পড়ুন- যুদ্ধ আবহে তরনী মোহনের লোক সঙ্গীতেই শান্তির বার্তা, নতুন গান নিয়ে জোর চর্চা সঙ্গীত মহলে

আরও পড়ুন- নারী ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদান এই ২৯ মহীয়সীর, নারী দিবসেই নারী শক্তি পুরষ্কার রাষ্ট্রপতির

কিন্তু তাতে যে তারা ভোটের ময়দানে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি তা এদিনের ফলাফলেই স্পষ্ট। অন্যদিকে ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, যোগীর ৮০-২০-এর কৌশল সফল হয়েছে। বিজেপি-কে পঞ্চাশটির মতো আসন হারাতে হলেও, এদিন দুপুর পর্যন্ত গণনায় দেখা যাচ্ছে তারা সমাজবাদীর পার্টির থেকে প্রায় দেড়শ আসনে এগিয়ে আছে। সহজ কথায় সাম্প্রদায়িকতার রসায়নেই যে উত্তরপ্রদেশে ফের ক্ষমতায় ফিরল বিজেপি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 
 আরও পড়ুন- বেসরকারি কলেজেও সরকারির খরচ, ডাক্তারি পড়ুয়াদের জন্য বড় ঘোষণা কেন্দ্রের