সংক্ষিপ্ত

ফের বিপুল ক্ষমতা নিয়ে মসনদে বসতে চলেছেন যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু করোনা সঙ্কট হোক বা দেশজোড়া কৃষক আন্দোলনে বারাবার যোগীর মুখ পুড়লেও কি করে এত বড় জয় ছিনিয়ে নিলেন তিনি ?

উত্তরপ্রদেশের ১৮তম বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা(Counting of votes in the 16th Assembly elections in Uttar Pradesh) শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা চলছে। অনেক আসনেই প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসছে। দ্রুত বদলে যাচ্ছে এগিয়ে থাকা পিছিয়ে থাকা প্রার্থীদের নাম। এদিকে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হতেই প্রাথমিক প্রবণতায় দেখা যাচ্ছে বিজেপি ইতিমধ্যেই ২৬৭টির বেশি আসনে এগিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টি ১২৪টির বেশি আসনে এগিয়ে। সেখানে বিএসপি মাত্র ৫টি, কংগ্রেস মাত্র ২টি আসনে এগিয়ে বলে দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি অন্যান্যরাও ৪টি আসনে এগিয়ে। এদিকে প্রাথমিক ট্রেন্ড থেকে এটা স্পষ্ট যে উত্তরপ্রদেশে ফের বড় পেতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ। ফের বিপুল ক্ষমতা নিয়ে মসনদে বসতে চলেছেন যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু করোনা সঙ্কট হোক বা দেশজোড়া কৃষক আন্দোলনে বারাবার যোগীর মুখ পুড়লেও কি করে এত বড় জয় ছিনিয়ে নিলেন তিনি ? 
এই প্রসঙ্গে আলোকপাত করতে গেলে আমাদের শুরুতেই ৬ মাস আগে ফিরে যেতে হবে। কারণ সেই সময় থেকেই সবথেকে বেসি চাপে পড়তে শুরু করেন যোগী। বিজেপি বিরোধী বাতাবরণ নতুন করে মাথাচাড়া দিতে শুরু করে কৃষক আন্দোলনের হাত ধরে। একের পর এক যোগীর তিন মন্ত্রী-সহ ১১ জন বিধায়ক দল ছেড়েছেন। সবাই যোগ দেন সমাজবাদী পার্টিতে। এখান থেকে সমাজবাদী পার্টি নিজের পক্ষে একটা সদর্থক আবহ তৈরি করতে সমর্থ হয়। অনেকেই সেই সময় বলতে শুরু করেন এবারে ভোট হলে ক্ষমতা দখল করতে পারেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলশ যাদব। তবে যোগীর সাফল্যের পিছনে লুকিয়ে আছে আরও অনেক রহস্য। 

আরও পড়ুন- ‘নিজেদের সীমারেখা বুঝুন’, নজরুল মঞ্চ থেকেই ফের সংবাদমাধ্যকে হুঁশিয়ারি মমতার

আরও পড়ুন- যুদ্ধ আবহে তরনী মোহনের লোক সঙ্গীতেই শান্তির বার্তা, নতুন গান নিয়ে জোর চর্চা সঙ্গীত মহলে

আরও পড়ুন- নারী ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদান এই ২৯ মহীয়সীর, নারী দিবসেই নারী শক্তি পুরষ্কার রাষ্ট্রপতির

সস্তা বিদ্যুৎ, চুক্তি কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ, সহকারী শিক্ষক হিসাবে শিক্ষামিত্রদের পুনরায় নিয়োগ এবং পুরানো পেনশন বাস্তবায়নের মতো বড় নির্বাচনী ঘোষণাগুলিও যোগীর পক্ষে যায়। পাশাপাশি যোগী আদিত্যনাথ জনগণকে বোঝাতে সফল হয়েছেন যে আইনশৃঙ্খলা ভালো থাকলে রাজ্যের উন্নয়ন দ্রুত হবে। অন্যদিকে রাজ্যের মহিলারাও অখিলেশের কোনও প্রতিশ্রুতির চেয়ে যোগীর আইনশৃঙ্খলার প্রতি আস্থা রেখেছিলেন। সেই কারণেই মহিলা ভোটের দ্বারাও অনেকটাই শক্ত হয়েছে বিজেপি-র ভোট ব্যঙ্ক। একইসাথে করোনার সময়, বিজেপি সরকার তিন বছর ধরে প্রতিটি দরিদ্রকে বিনামূল্যে রেশন সরবরাহ করেছিল। গ্রাম-গঞ্জের মানুষ এর প্রশংসা করেছে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান যোজনার আওতায় প্রতি বছর ছোট কৃষকদের ছয় হাজার টাকা দেওয়া হয়। তারও বড় প্রভাব পড়েছে ভোটের ময়দানে এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বড় অংশের। 

আরও পড়ুন- বেসরকারি কলেজেও সরকারির খরচ, ডাক্তারি পড়ুয়াদের জন্য বড় ঘোষণা কেন্দ্রের