সরকারি হাসপাতালে রমরমিয়ে চলছিল দালালচক্র। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অবশেষে নড়চড়ে বসল প্রশাসন। পুলিশ ও সিআইডি-র যৌথ অভিযানে ধরা পড়ল দালালচক্রের দুই পাণ্ডা। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের ঘটনা।
আরও পড়ুন: করোনার চিকিৎসা এড়িয়ে পালালে গ্রেফতার, রাজ্য়ে জারি মহামারী আইন
রোগীকে নিয়ে যাওয়ার ট্রলিই হোক কিংবা বেড, টাকা খরচ না করলে কিছু মিলবে না। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্যে ক্ষোভ বাড়ছিল সাধারণ মানুষের। অভিযোগ, রোগীর ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে দেওয়া ও অ্যাম্বুলান্সের জন্যও রীতিমতো ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করত স্থানীয় কয়েকজন যুবক ও হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ। গত ৩ মার্চ একদিনের সফরে কালিয়াগঞ্জে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠকে সরকারি হাসপাতালে দালালচক্র নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, 'রায়গঞ্জ হাসপাতালে পরিষেবার দেওয়ার নাম করে টাকা আদায় করছে। এরা কারা? সরকার বিনা পয়সায় চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছে আর এরা অন্যায়ভাবে টাকা কামাচ্ছে, এটা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।' শুধু তাই নয়, মঞ্চ থেকে রায়গঞ্জ হাসপাতালে সিআইডি-র টিম পাঠানোরও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। দালালদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন খোদ পুলিশ সুপারকে। ফলও মিলল হাতনাতেই।
আরও পড়ুন: শিক্ষালয়ের ১০০ মিটারের মধ্যে আইসোলেশন ওয়ার্ড, শিলিগুড়িতে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ
সোমবার সকালে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে হাজির হন সিআইডি-র আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিল রায়গঞ্জ থানা পুলিশও। ধরা পড়ে দালাল চক্রের দুই পাণ্ডা। ধৃতেরা হল কৃষ্ণ কাহার ও মিঠুন হাজরা। দু'জনেরই বাড়ি রায়গঞ্জে। পুলিশের ভূমিকায় খুশি সকলেই।