সংক্ষিপ্ত

  • ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আইসোলেশন ওয়ার্ড
  • বিক্ষোভে শামিল গ্রামবাসীরা
  • বেকায়দায় প্রশাসন
  • শিলিগুলির ঘটনা

জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু বেঁকে বসেছেন স্থানীয় বাসিন্দারাই! শিলিগুড়িতে যদি কেউ করোনায় আক্রান্ত হন বা তেমন কোনও উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে কোথায় চিকিৎসা হবে? উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের।

আরও পড়ুন: ইংল্যান্ড থেকে ফিরেই 'করোনা'র কবলে, হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসক

কী ব্য়াপার? এ রাজ্যের এখনও পর্যন্ত কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। কিন্তু সংক্রমণ ছড়াতে কতক্ষণ! রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে আলাদা আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। শিলিগুড়ির হাতিঘিষা এলাকায় উত্তরবঙ্গ বিপর্যয় মোকাবিলা ভবনের ১০০ শয্যায় আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির কাজও চলছে জোরকদমে। কিন্তু চিকিৎসা তো দূর, নির্মীয়মাণ ওই ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন কোনও রোগী রাখা যাবে না। এমনই দাবি তুলে সোমবার সাতসকালে বিক্ষোভে শামিল হলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। কিন্তু কেন? বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, উত্তরবঙ্গ বিপর্যয় মোকাবিলা ভবনের যে অংশে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি হচ্ছে, সেখান থেকে স্কুল, কলেজ ও হস্টেলের দূরত্ব খুব বেশি নয়। শুধু তাই নয়, কাজেই আবার চা-বাগানের শ্রমিকরাও কাজ করছেন। সেক্ষেত্রে যদি করোনা আক্রান্তদের ওই আইসোলেশন ওয়ার্ডে আনা হয়, তাহলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে। প্রয়োজনে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা।

আরও পড়ুন: আইসোলেশন ওয়ার্ডে তালা, 'করোনা আক্রান্ত'কে আতঙ্ক ছড়াল হাসপাতালে

কী বলছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা? জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক(২) সূজয় বিষ্ণু বক্তব্য, গ্রামবাসীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও  কারণ নেই। সমস্ত নিয়ম মেনেই আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হচ্ছে। বস্তুত, উত্তরবঙ্গ বিপর্যয় মোকাবিলা ভবনেই আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির বিষয়ে স্বাস্থ্য অনড় বলে জানা গিয়েছে। এদিকে দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরাও।