করোনার আতঙ্ক, শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি রাজ্যের

 

  • করোনা আতঙ্কে এবার কোপ পর্যটনেও
  • বন্ধ করা দেওয়া হচ্ছে  শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক
  • ঢোকা যাবে না সিঙ্গলীলা জাতীয় উদ্যান, সিঞ্চল বনাঞ্চলেও
  • বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার

Tanumoy Ghoshal | Published : Mar 16, 2020 7:50 PM IST / Updated: Mar 17 2020, 01:21 AM IST

সংক্রমণের ভয়ে ডুয়ার্সে যাননি পর্যটকরা, হোটেল-রিসর্টগুলি খাঁ খাঁ করছে। আর এবার করোনা আতঙ্কে অনির্দিষ্টকালের জন্য় বন্ধ হয়ে গেল শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক, সিঙ্গলীলা জাতীয় উদ্যান, সিঞ্চল বনাঞ্চল, এমনকী টাইগার হিলও। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে নয়া নির্দেশিকা লাগু হতে চলেছে।

আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে শুনসান ডুয়ার্স, বিপুল ক্ষতির মুখে পর্যটন ব্যবসা

আরও পড়ুন: ১২ দিনেও ছাড়েনি জ্বর,পুণে থেকে বর্ধমানে ফিরতেই আইসোলেশনে রাজমিস্ত্রি

শিলিগুড়ি শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান বেঙ্গল সাফারি পার্ক। পার্কে নির্দিষ্ট জায়গা বা এনক্লোজারে ঘুরে বেড়ায় বাঘ, সিংহের মতো বন্যজন্তুরা। পশুদের খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয় না। শীতের মরশুমে তো বটেই, বছরভরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে  বেঙ্গল সাফারি পার্কে। সিঙ্গলীলা জাতীয় উদ্যান, সিঞ্চল বনাঞ্চলের জনপ্রিয়তাও কম নয়। কিন্তু করোনা আতঙ্কে আপাতত আর এই বনাঞ্চল ও অভয়ারণ্যে ঢুকতে পারবেন না পর্যটকরা। সংক্রমণ ঠেকাতে গোটা দেশজুড়েই জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। যার জেরে গত কয়েক দিন ধরেই নিরাপত্তার কড়াকড়ি চলছিল বেঙ্গল সাফারি পার্ক ও সিঙ্গালীলা জাতীয় উদ্যানে। শেষপর্যন্ত সোমবার সন্ধ্যায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে বেঙ্গল সাফারি পার্ক, সিঙ্গলীলা জাতীয় উদ্যান, সিঞ্চল বনাঞ্চল ও টাইগার হিল আপাতত বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।  জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত এই নির্দেশই বহাল থাকবে।

 

 

জানা গিয়েছে, বাংলায় এখনও পর্যন্ত ৫৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রান্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই। তবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে করোনা সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনেকেই। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোমবারই নবান্নে রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ২০০ কোটি টাকার তহবিল গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্য সরকার।  

Share this article
click me!