রেড রোডের কুচকাওয়াজে ডাক পাননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এই ইস্যু নিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের সকাল থেকে জোর চর্চা চলছে বাংলার রাজ্য-রাজনীতিতে।
প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির কুচকাওয়াজে বাতিলের তালিকায় পড়েছে বাংলার নেতাজি ট্যাবলো। এদিকে বাংলার রেড রোডের কুচকাওয়াজে ডাক পাননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Leader of Opposition in the state and MLA of Nandigram) শুভেন্দু অধিকারী। এই ইস্যু নিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic day 2022) সকাল থেকে জোর চর্চা চলছে বাংলার রাজ্য-রাজনীতিতে। এবার এই ইস্যুতেই তৃণমূল সুপ্রিমো (Trinamool supremo) তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Chief Minister Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (BJP leader Shuvendu Adhikari)। রীতিমতো ব্যক্তিগত স্তরে নেমে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেন, "আমার মনে হয়েছে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee in Nandigram) আমার কাছে হেরেছেন বলে সেই সেই যন্ত্রণা থেকে তিনি আমাকে ডাকতে দেননি। তাঁর নির্দেশেই এটা হয়েছে। আপনারা জানেন ক্যান্সারেরও কেমো বেরিয়েছে। কিন্তু হিংসার কোন ওষুধ বের হয়নি।”
এখানেই না থেমে শুভেন্দু অধিকারী আরো বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে হিংসা, যেহেতু আমার কাছে তিনি হেরে বাড়ি গিয়েছেন। কিন্তু চিরদিন এটা লেখা থাকবে, হেরেছি হেরেছি হেরেছি।” একইসঙ্গে বুধবার শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যে গত বছরেও সেই সময়কার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে কার্ড দেওয়া হয়েছিল। ফোন করে ডাকা হয়েছিল। এ বছর তাঁর ক্ষেত্রে তা হয়নি। অন্যদিকে একই ইস্যুতে মমতার বিরুদ্ধে শুর চড়ান বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। টুইটারে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে তিনি লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার রেড রোডে অনুষ্ঠিত প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে শ্রী শুভেন্দু অধিকারীকে(পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা) আমন্ত্রণ জানাননি। এই প্রথম রাজ্যের কোনও বিরোধী দলনেতা এই ধরণের বড় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হল না। একইসঙ্গে খোঁচা দিয়ে তিনি আরও লেখেন, নন্দীগ্রামের ঘটনা অবশ্যই বেদনাদায়ক, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে তো গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য বজায় রাখতে হবে।”
আরও পড়ুন-জয়প্রকাশ প্রসঙ্গ উঠতেই মেজাজ হারালেন শান্তুনু, বিতর্কের মাঝেই মুখ খুললেন সুকান্ত
একইসঙ্গে বুধবার মহিষাদলের গোপালপুরে ভারত মাতার পুজোয় এসে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দফায় দফায় আক্রমণ শানান শুভেন্দু। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃত করছেন। আমি বলব হয় আপনি পড়াশোনা করে যান উনি আমার থেকে বয়সে বড় আমি তো বলতে পারিনা। তবুও বলছি। নইলে বলব মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে ভালো লোকজন শিক্ষিত লোকজনকে রাখতে। অশিক্ষিততে ভরে গেছে। এটা হতে পারে দু'বছর যেমন বাচ্চারা পড়াশোনা করতে পারছেনা সব ভুলে গেছে হয়তো মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শদাতা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও সব ভুলে গেছেন। ৮৫ শতাংশ লোকের বাড়িতে টেপ, ল্যাপটপ নেই, অনলাইনের গল্প চলে না, এসব ক্ষতি করছেন কেন? রাজ ধর্ম পালন করুন।” একইসঙ্গে সম্প্রতি মমতার মাতঙ্গিনী হাজরাকে নিয়ে করা মন্তব্যে প্রসঙ্গেও তীব্র কটাক্ষবান শানান শুভেন্দু।
আরও পড়ুন-‘দুয়ারে মদে’ সবুজ সংকেত আবগারি দপ্তরের, কবে থেকে ঘরে বসেই মদ পাবেন সুরপ্রেমীরা