এর আগে কতবার তারা হোটেলে এসেছেন সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু বলতে পারেননি হোটেলের গার্ড। তবে ঘরের মধ্যেই যে অশান্তি যে হয়েছে তা স্বীকার করে নেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিন্দার ঝড় উঠেছে এলাকায়।
প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তার ওপর এক মহিলা আর এক মহিলাকে আরও এর মারছে। ঘন ঘন মাথায় পড়ছে হেলমেটের ঘা। কোনও রাস্তায় ফেলে চলছে বেধড়ক মার। সঙ্গে চলছে লাথি। চুলের মুঠি ধরে বারেবারে ফেলে দেওয়া হচ্ছে মাটিতে। সঙ্গে চলছে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। চারপাশে জড়ো হয়ে গিয়েছে অসংখ্য উৎসুক পথচারী। কেউ বুঝছেন, কেউ বুঝছেন না। অপরদিকে আর এক ব্যক্তিকে এক যুবক কলার ধরে নিয়ে যাচ্ছে। হ্যাঁ, এমনটাই ঘটছে আসানসোলের বার্নপুর(Barnpur in Asansol) রোডে। শুধু তাই নয়। মারধরের পর থানাতেও নিয়ে যাচ্ছে। বৃহঃষ্পতিবার খোদ আসানসোল শহরের(Unrest in Asansol) বুকে এই দৃশ্য দিকে হতবাক সকালে। কিন্তু হয়েছে টা কি? এই প্রশ্নই ঘোরফেরা করতে থাকে সকলের মুখে।
সূত্রের খবর, ঘটনার আসল সূত্রপাত একটি পরকীয়ার(extramarital love) সূত্র ঘরে। মূল অভিযোগ আসানসোলের(Asansol) বাসিন্দা মোহন লালকে ঘিরে। তার সঙ্গেই নাকি অবৈধ ভাবে সময় কাটাচ্ছিল প্রহৃত মহিলা। আর এদিন তাদের বার্নপুর রোডের ইষ্পাত হোটেলে হাতেনাতে ধরে ফেলেন অভিযুক্তের স্ত্রী। আর তারই পরেই রণংদেহী মেজাজে চড়াও হন অভিযুক্ত মহিলার উপর। অভিযুক্তের স্ত্রীর দাবি, ঘটনার কথা তিনি অনেকদিন আগে থেকেই জানতেন। আগেও নাকি তাদের সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও তারা মেলামেশা থামায়নি। উল্টে গোপনেই চলত পরকীয়া। যা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই তাদের বাড়িতে অশান্তিও লেগেছিল বলে খবর।
আরও পড়ুন-বিএসএফ-রাজ্য পুলিশের মধ্যে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন মমতা, তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর
অভিযুক্তের স্ত্রীর দাবি, “দীর্ঘদিন ধরে আমার স্বামীকে নিয়ে হোটেলে(Hotel) রাত্রিবাস করত ওই মহিলা। ওকে বারাবার বলার পরেও কথা শোনেনি। দু’মাস আগে ওই মেয়েটির স্বামী মারা যায়। তারপর তাদের মেলামেশা আরও বেড়ে যায়। এই সমস্ত অবৈধ কাজ করার জন্য ও এখন নিজের বাচ্চাকে জলপাইগুড়িতে ভর্তি করে এসেছে। মাঝে মধ্যেই ওরা বার্নপুর রোডের এই হোটেলে রাত্রিবাস করত।” সূত্রের খবর, আজ সকালেই উক্ত পুরুষ এবং মহিলা হোটেলে এসেছিলেন। যদিও ব্যক্তির পরিচয় পত্র হোটেলের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছিল। যদিও তা সংবাদমাধ্যমের সামনে আনা হয়নি। তবে কোন সময় তারা হোটেলে ঢোকেন, বা এর আগে কতবার তারা হোটেলে এসেছেন সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু বলতে পারেননি হোটেলের গার্ড। তবে ঘরের মধ্যেই যে অশান্তি যে হয়েছে তা স্বীকার করে নেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।