করোনা আক্রান্ত উপাচার্য-সহ ১৬ জন কর্মী, আতঙ্ক ছড়াল বিশ্বভারতীতে

  • করোনার থাবার এবার বিশ্বভারতীতে
  • আক্রান্ত খোদ উপাচার্য ও তাঁর স্ত্রী
  • আংশিকভাবে বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়
  • আতঙ্কিত পড়ুয়ারা
     

Asianet News Bangla | Published : Oct 21, 2020 2:26 PM IST

আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: বাঙালির দুর্গোৎসবেও থাবা বসিয়েছে করোনাভাইরাস। সংক্রমণ রুখতে এবছর  রাজ্যের সর্বত্রই 'ঠাকুর দেখা'য় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এসবের মাঝেই এবার খোদ উপাচার্য, তাঁর স্ত্রী-সহ করোনা আক্রান্ত হলেন ১৬ জন।  আতঙ্ক ছড়াল বিশ্বভারতীতে।  আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের অফিস। স্যানিটাউজ করা হবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।

আরও পড়ুন: তিন বছর পর ফের প্রকাশ্যে, কলকাতায় দেখা মিলল বিমল গুরুং-এর

করোনাভাইরাস ঢুকে পড়ল বিশ্বভারতীতেও। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে করোনা আক্রান্ত হন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর গাড়ির চালক। এরপর তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয় উপাচার্য ও কর্মসচিবের অফিস। কিন্তু তাতেও আর শেষরক্ষা হল কই! করোনা উপসর্গ দেখা দেয় উপাচার্যের অফিসে কর্মরত বেশ কয়েকজন কর্মীর। আর ঝুঁকি নেই কর্তৃপক্ষ, সোমবার উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব-সহ বিশ্বভারতীর বিভিন্ন  দপ্তরে কর্মরত দেড়শো জন কর্মীর করোনা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেদিন ১১০ জনের লালারস পরীক্ষা করা হয় পিয়ারসন হাসপাতালে। 

আরও পড়ুন: মোবাইল থেকে সরাসরি উপভোগ করুন, চোখ ধাঁধানো পুজো উদ্বোধন পুরুলিয়ায়

এখনও পর্যন্ত যা খবর, উপাচার্য, তাঁর স্ত্রী, এমনকী পিয়ারসন হাসপাতালের দু'জন চিকিৎসক-সহ ১৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সকলেই বিশ্বভারতীর কর্মী। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, পরে তা বদল করা হয়। কেন? উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, স্নাতকস্তরে পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে এবং কর্মীদের বেতনের বিষয়টি মাথায় রেখেই বিশ্বভারতী বন্ধ করা হচ্ছে না।  বন্ধ থাকবে শুধু উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের অফিস।  আপাতত নতুন করে কাউকে ভর্তিও নেওয়া হবে না পিয়ারসন হাসপাতালে।    

Share this article
click me!